সংবিধান অনুসারে বাংলাদেশে নির্বাচন হবে এবং সেই নির্বাচনের সময় বর্তমান সরকারই থাকবে। তারা নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। আর নির্বাচনকালীন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন শেখ হাসিনা।
বুধবার (১০ মে) সচিবালয়ে সম্মেলন কক্ষে সামসময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে মন্তব্য করেছেন আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। যা কারও জন্য কোনো প্রস্তাব না। আর এ নিয়ে বলার সময় এখনও আসেনি। এখন বিএনপি যদি নির্বাচন বর্জন করে কিংবা বলে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন করবে না, সেই দাবিতে অনড় থাকে, তাহলে এসব আলোচনার প্রশ্নই আসে না।
আওয়ামী লীগ কী সংলাপের জানালা উন্মুক্ত রাখতে চাচ্ছে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ওবায়দুল কাদের যা বলেছেন, তা নিয়ে দলে কোনো আলোচনা হয়নি।
২০১৪ সালে বলা হয়েছিল যে, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব তাদের দেওয়া হবে। এবারও তেমন কোনো প্রস্তাব আছে কি না- জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, এখনকার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই সেই প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা একটি অবাধ-সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাচ্ছি। যুক্তরাজ্য সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই কথা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন।
পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইমরান খানকে গ্রেফতারের পর যেভাবে বিক্ষোভ হয়েছে, তা পাকিস্তান ছাড়িয়ে অন্য দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। এতে বোঝা যায়, দেশটিতে ইমরান খানের জনপ্রিয়তা রয়েছে।
পাকিস্তানে থাকা নাগরিকদের সতর্ক থাকতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। এ ঘটনায় আন্তর্জাতিকভাবে কোনো প্রভাব পড়বে কি না- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, এটি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়। দেশটিতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে। বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকদের সতর্ক থাকতে বলবে, এটিই স্বাভাবিক। এটি সত্য যে পাকিস্তানে সংঘাত লেগেই আছে। সেখানে গণতন্ত্র সবসময় হোঁচট খাচ্ছে।
কিন্তু সেই পাকিস্তানই ভালো ছিল বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর- এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে যে পাকিস্তানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি, তাতে মির্জা ফখরুলকে প্রশ্ন করা যায়, আজকে আপনার মন্তব্য কী?
আরএস