নির্বাচনী সংলাপকে ‘ফাঁদ’ হিসেবে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। দুবার পাতানো নির্বাচন হয়েছে। তৃতীয়বারের মতো আর ফাঁদে পা দেবে না বিএনপি।
শনিবার (১০ জুন) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক স্মরণ সভায় এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপি নেতা গৌতম চক্রবর্তীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ স্মরণ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট।
মির্জা ফখরুল দাবি করেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ সংসদে ১০ ভাগ আসনও পাবে না। তিনি বলেন, চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক।
সংলাপ নিয়ে সরকারের মন্ত্রীদের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, গত বছরও ডেকেছে সংলাপের জন্য। ভেবেছি ভালো কিছু একটা হবে। দুবার প্রতারণার শিকার হয়েছি। তাদের কথা আর কেউ শুনবে না। কারণ অতীতে কথা দিয়ে কথা রাখেনি।
সরকারের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকার দুর্নীতি করছে আর উন্নয়নের কথা বলছে। তারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে। আমরা বলেছি গণতন্ত্র ছাড়া উন্নয়ন হয় না। আজকে আন্তর্জাতিকভাবেও এটা বলা হচ্ছে। বিদেশি পত্রিকা বলছে বাংলাদেশের অর্থনীতি আন্ডার গ্রাউন্ডে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার বিদ্যুৎ নিয়ে যে ঢাকঢোল পিটিয়েছে, যে টাকা খরচ করেছে এখন সেটা কোথায়? তারা এখন নির্বাচনী ফান্ড তৈরির চেষ্টা করছে। এমনিতেই যেখানে বিমান চলতে পারে না সেখানে এয়ার বাস কেনা হচ্ছে। এর মাধ্যমে দুর্নীতি হবে, আর তারা (আওয়ামী লীগ) নির্বাচনী ফান্ড তৈরি করবে।
এইচআর