বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সরকারের কোনো যোগাযোগ নেই এবং যোগাযোগ রাখার প্রয়োজনও নেই বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, এর মধ্যে ‘অন্য কিছু’ নেই।
কোরবানির ঈদের ছুটি শেষে রোববার (২ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এসব কথা বলেন তিনি।
গত ১০ জুন ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জামায়াতের সেই সমাবেশটি হয় এক দশক পর। সেই কর্মসূচির পর থেকে রাজনীতিতে নানান কথা উঠছে। এর মধ্যে গত ৩০ জুন ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদনে বলা হয়, বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, ‘সরকারের সঙ্গে জামায়াতের যোগাযোগ এখন স্পষ্ট।’
এর প্রতিক্রিয়ায় জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মাসুম এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যে জনগণ হতাশ হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী কোনো ফ্যাসিস্ট, স্বৈরাচার ও জালেমের সঙ্গে আঁতাত, সমঝোতা বা যোগাযোগ করে কখনও রাজনীতি করে না, করার প্রশ্নই আসে না।’
ঈদের ছুটি শেষে মির্জা ফখরুল দাবি করেন, তার বক্তব্য গণমাধ্যমে ভুলভাবে এসেছে। জামায়াত তাদের সঙ্গেই আছে।
এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জামায়াত সম্পর্কে মির্জা ফখরুল যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা তো জামায়াতই অস্বীকার করেছে। আমাদের সঙ্গে জামায়াতের কোনো যোগাযোগ নেই, যোগাযোগের প্রয়োজনও নেই। রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতকে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, এর মধ্যে ‘অন্য কিছু’ নেই।
বিএনপি কিছু দিন পরপর ‘কৌশল পরিবর্তনের’ মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে বলেও মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের মূল কৌশল হচ্ছে দেশে একটি গণ্ডগোল করা, মূল কৌশল হচ্ছে দেশে একটি বিশৃঙ্খলা তৈরি করা। সমস্ত কৌশলের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশে একটি বিশৃঙ্খলা তৈরি করা এবং নির্বাচনকে ভণ্ডুল করার অপচেষ্টা করা। এটি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের বক্তব্যতেও স্পষ্ট।
খাদ্যপণ্যের ‘সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করলে জনগণের ভোগান্তি হবে’ সংসদে দেওয়া বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশীর এমন বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিক্রিয়া জানান তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এটি (সিন্ডিকেট) অবশ্যই আমাদের দেশে ভোগান্তি তৈরি করছে, যা আমরা অবশ্যই স্বীকার করি। যারা এটি করে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
এ সময় অবৈধ আইপি টিভি ও ইউটিউব চ্যানেলগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সব জেলা প্রশাসনকে চিঠি দেওয়ার কথা জানান তথ্যমন্ত্রী। তবে নিজের মন্ত্রণালয়ের দেওয়া ওই চিঠি কোনো সময় বেঁধে দেওয়া হয়নি।
আরএস