ঐক্যবদ্ধ থেকে রাজপথে নামলে এই সরকার টিকবে না: যুবদল সভাপতি

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: জুলাই ১২, ২০২৩, ০৮:৫২ পিএম

ঐক্যবদ্ধ থেকে রাজপথে নামলে এই সরকার টিকবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু । তিনি বলেন, বিএনপি দাবি আদায়েরর প্রক্রিয়ায় জনস্রোত সৃষ্টি হয়েছে। এতে সরকার ভীত হয়ে পড়েছে। পতনের ভয়ে আওয়ামী লীগ হামলা করছে, গ্রেফতার-নির্যাতন করছে, গায়েবী মামলাও দিচ্ছে।

বুধবার (১২ জুলাই) নয়াপল্টনে ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এক জনসমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

টুকু বলেন,  গণতন্ত্রের জন্যই দেশের মানুষ নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। এখনো সময় আছে জনগণের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে পদত্যাগ করুন। বাংলাদেশের জনগণ জেগে উঠেছে, পালাবার পথ খুজে পাবেন না।

তিনি বলেন, বিএনপির কর্মসূচিগুলোর মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, এই দেশের জনগণ একবারও চায় না যে,  এই  অবৈধ, অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় থাকুক এবং গণতন্ত্রকে ধবংস করুক। এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, দেশনেত্রীর মুক্তি দেশের মানুষ এই মুহূর্তে চান।

যুবদল সভাপতি বলেন, অতীতের মতো নির্যাতন, গুম, খুন, গুলিবর্ষনের মধ্য দিয়ে আ‍‍`লীগ গণতন্ত্র পুণঃপ্রতিষ্ঠার যে সংগ্রাম যে লড়াই তাকে ব্যাহত করতে চায়। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, তরুণরা জেগে উঠেছে, বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে এবং তারা রাজপথের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তাদের দাবি আদায় করবে, গণতন্ত্রকে পুণরুদ্ধার করবে, দেশনেত্রীর মুক্তি এবং একই সঙ্গে তারেক রহমান কে দেশে ফিরিয়ে আনবে ইনশাআল্লাহ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে যারা ভোট চুরি করে ক্ষমতায় বসে আছে, তারা হচ্ছে প্রধান চোর। সময় এসে গেছে, এই চোরদেরকে ধরতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এই সরকারকে হটাতে হলে রাজপথে নামতে হবে। রক্তে রঞ্জিত করতে হবে রাজপথ তবেই এই সরকারের পতন হবে। তাদের সময় শেষ হয়ে এসেছে। সরকারের উচিত ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করা।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে সুলতান সালাউদ্দিন আরও বলেন, ‘সবাই ঐক্যবদ্ধ হোন, দেশের সমস্ত মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করুন, ঐক্যবদ্ধ হওয়ার মাধ্য দিয়ে একটি দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলে ফ্যাসিবাদী, ভয়াবহ কর্তৃত্ববাদী, স্বৈরাচারী ও খুনি সরকারকে পরাজিত করে একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারি।’

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. মঈন খান, গয়েশ্বয় চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুন হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী,  সাধারন সম্পাদক রাজিব আহসান, যুবদলের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন শ্যামল, জাকির সিদ্দিকী, জাকির হোসেন নান্নু, গোলাম মোস্তফা সাগর, হারুনুর রশিদ শিশির, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, কেন্দ্রীয় যুবদলের যোগাযোগ সম্পাদক গিয়াস উদ্দীন মামুন, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক প্রমুখ।

আরএস