গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু বলেছেন, এটা আমাদের কাঙ্ক্ষিত দেশ নয়। এ রকম একটা দেশের জন্য, এরকম গণতন্ত্রের আমরা মুক্তিযুদ্ধ করিনি। এই অবস্থা থেকে আমাদের মুক্তি পেতে হবে। আর সেই মুক্তির লড়াই, গণতন্ত্রের লড়াই তো রাজপথেই। আমাদের লড়াই রাজনৈতিক লড়াই, গণতন্ত্রের লড়াই।
সুলতান সালাউদ্দীন বলেন, আমরা সেই বাংলাদেশ ফিরে পেতে চাই, যে বাংলাদেশ আমরা লড়াই করে প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। সেই বাংলাদেশের জন্য আমাদের লড়াই করতে হবে নিজেদের জন্য, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। এই কাজটা আমাদের করতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) খুলনা প্রেস ক্লাবে বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশের জনগণ এখন সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। দেশের জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা এই অবৈধ সরকারকে পরাজিত করে, তাদের পদত্যাগে বাধ্য করা সম্ভব হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে এই সরকারকে জনগণই বাধ্য করবে।’
রাষ্ট্র গঠনের ক্ষেত্রে মূল মালিক জনগন, সেই জনগনকে আমরা ভোটের অধিকার ফেরত দিতে চাই। তাই আসুন দেশকে রক্ষা করার জন্য, মানুষকে রক্ষা করার জন্য, স্বাধীনতার যেই আকাঙ্ক্ষা তা পূরণ করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হই। জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে আরেকটি যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি।
নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে যুবদল সভাপতি বলেন, আসুন আমরা ছোট-বড় সব শক্তি একত্রিত হয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পতন নিশ্চিত করি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আমাদের এই সমাবেশ। তারেক রহমানের নেতৃত্বে চুড়ান্ত আন্দোলনে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে আমরা জনগনের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করি।
দেশ রক্ষার জন্য, দেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে দেশের স্বার্থ চিন্তা করে গনতন্ত্রের কথা চিন্তা করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান যুবদল সভাপতি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ্যাড. শফিকুল ইসলাম মনা, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম তুহিন, যুবদলের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী সহ খুলনা জেলা ও মহানগরের নেতারা উপস্তিত ছিলেন।
আরএস