আজকে তরুণদের আরও শক্তিশালী হয়ে জেগে উঠতে হবে জানিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু বলেছেন, অত্যাচার যত বাড়বে, অন্যায়ের প্রতিবাদ তত তীব্র হবে। তিনি বলেন, দেশে এখন স্বৈরশাসন চলছে ফ্যাসিবাদী সরকার থেকে মুক্ত হতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ভোটচোর, অবৈধ, নিশিরাতের সরকারকে তাড়াতে হবে।
শনিবার (২২ জুলাই) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার, বাক স্বাধীনতা, নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা এবং মেধাভিত্তিক কর্মসংস্থান এর দাবীতে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদল আয়োজিত তারুণ্যের সমাবেশে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
টুকু বলেন, আমাদের এই ক্ষোভ পুষে রাখতে হবে। আগামীতে যে বৃহত্তর আন্দোলন হবে সেখানে এই ক্ষোভ-ব্যথা বুকে নিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’তিনি আরও বলেন, দেশের এমন কোনো জেলখানা নেই যেখানে আমাদের কর্মী নেই, এমন কোনো গোরস্থান নেই যেখানে আমাদের কর্মী নেই।
তিনি বলেন, এ সরকার দেশ-বিদেশে আজ প্রত্যাখিত। এরা ঘৃণিত। এরা গণতন্ত্র বুঝে না, স্বাধীনতার অর্থ বুঝে না। এরা শুধু বুঝে লুটপাট আর দূর্নীতি। এদের কাছে এ দেশ ও জনগণ নিরাপদ নয়। তাই দেশ ও জনগণকে রক্ষার্থে বিএনপি আন্দোলন করছে। এ আন্দোলন ক্ষমতায় যাওয়ার আন্দোলন নয়, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার আন্দোলন।
সুলতান সালাউদ্দিন বলেন, আমরা গণতন্ত্র, মানুষের স্বাধীনতা, দেশের স্বাধীনতা, ন্যায়-সত্যের জন্য লড়াই করছি। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীন জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার লড়াই শুরু হয়েছে, ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত এই লড়াই চলবে।
তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের সময় শেষ হয়ে আসছে। দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে যেকোনো সময় পতন ঘটবে, তার নেতৃত্বেই চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন সফল হবে। মানুষ বাকস্বাধীনতা ফিরে পাবে।।এসময় তিনি নেতাকর্মীদের নিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের শপথ নেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিনের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি এস এম জীলানী, সাধারন সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুন হাসান, সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, রুহুল আমিন আকিল, জাকির হোসেন নান্নু, মাহবুবুল হাসান পিংকু, গোলাম মোস্তফা সাগর, হারুনুর রশীদ শিশির,কামরুজ্জামান দুলাল, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জাবেদ হাসান স্বাধীন, সাইদুর রহমান, সহ-সাধারন সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রাসেল, মো. দুলাল হোসেন, প্রচার সম্পাদক করিম সরকার, যোগাযোগ সম্পাদক গিয়াস উদ্দীন মামুন, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, সহ-প্রচার সম্পাদক আশরাফুল আলম ফকির লিংকন, আরো যারা উপস্থিত ছিলেন, সুমন দেওয়ান, পার্থদেব মন্ডল, মাজেদুল ইসলাম রুমন, সৈয়দ শহিদুল আলম টিটু প্রমুখ।
আরএস