গণঅধিকার পরিষদের (নুর-রাশেদ) একাংশের নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবন ঘেরাও কর্মসূচি আটকে দিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) রাজধানীর পুরানা পল্টনের প্রতীম-জামান টাওয়ারে নিচ থেকে বেলা ১২টার দিকে মিছিল নিয়ে আগারগাঁও ইসি ভবনের দিকে রওনা দেয়। মিছিলটি গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট দিয়ে মৎসভবন হয়ে বাংলামোটর এলাকায় গেলে পুলিশ তাদের থামিয়ে দেয়। এ সময় সেখানে বসেই সমাবেশ করে তারা।
মিছিল শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নুরুল হক নুর বলেন, আজ প্রশাসনসহ পুলিশ ভাইদের অনুরোধ করবো, আপনারা আমাদের সহযোগিতা করুন। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে মিছিল নিয়ে যাব। আমরা সরকার পতনের চূড়ান্ত দাবি আদায়ে নামিনি। আমরা ইসির প্রতি ধিক্কার ও প্রতিবাদ জানিয়ে কমিশন অভিমুখে যেতে চাই।
তিনি বলেন, আপনারা (আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) সর্বোচ্চ নির্বাচন কমিশনে ঢুকতে আমাদের বাধা দিতে পারেন। এর আগে রাস্তায় কোথাও বাধা ও উসকানি দিয়ে পরিস্থিতি অবণতি করবেন না। এখানে যারা আছে সবাই ছাত্র, যুবক ও তরুণ। এই অদম্য তারুণ্যেকে বন্দুকের নল ও ট্যাঙ্ক দেখিয়ে দমানো যাবে না। আপনারা যদি উসকানি দেন তাহলে পরিস্থিতি খারাপ হবে।
এ সময় মিছিলে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ অন্য নেতারাও উপস্থিত রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের মে মাসে নতুন দলের নিবন্ধন আবেদন চায় নির্বাচন কমিশন। নির্ধারিত সময়ে একশর মতো দল নিবন্ধন পেতে আবেদন করে। প্রাথমিক বাছাইয়ে ঝরে পড়ে ৮৭টি আবেদন। টিকে থাকে ১২টি দল। তার মধ্য থেকেই বিএনএম ও বিএসপিকে নির্বাচিত করেছে ইসি। অবশ্য ইতিমধ্যে দুটি দলকেই নিবন্ধন না দিতে ইসিতে আবেদন জমা পড়েছে।
আরএস