যুবদল নেতা মুন্নাকে আটকের প্রতিবাদে আইনজীবীদের সংবাদ সম্মেলন

আদালত প্রতিবেদক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৩, ০৮:৩৮ পিএম

উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্নাকে জেলখানায় আটক রাখার অভিযোগে আদালতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। সোমবার সন্ধ্যার দিকে ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবনের দ্বিতীয় তালায় এ সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।

সংবাদ সম্মেলনে মুন্নার আইনজীবী ও কেন্দ্রীয় যুবদলের আইন বিষয়ক সম্পাদক নিহার হোসেন ফারুক বলেন, গত ৮ মার্চ বিনা পরোয়ানায় আবদুল মোনায়েম মুন্নাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। এরপর শাহজাহানপুর থানার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেয়া হয়। সে মামলায় জামিন পেলেও একের পর এক ৫ টি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তবে কোনো মামলার এজাহারেই আবদুল মোনায়েম মুন্নার নাম ছিল না। এমন কার্যক্রমের বিরুদ্ধে আমরা মহামান্য হাইকোর্টে রিট করলে মুন্নাকে এভাবে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো কেন অবৈধ হবে না মর্মে রুল ইস্যু করে হাইকোর্ট। এছাড়া রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জেলগেট থেকে এবং এজাহারে নাম না থাকলে কোনো মামলায় গ্রেপ্তার না দেখাতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট বিভাগ। কিন্তু পরবর্তীতে ফ্যাসিস্ট সরকারের আজ্ঞাবহ পুলিশ উচ্চ আদালতের এই আদেশ অগ্রাহ্য করে পুনরায় যাত্রাবাড়ী থানার আরেক মামলায় নাম না থাকা সত্ত্বেও মুন্নাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

তিনি আরো বলেন, এরপর ফের রিট করা হলে হাইকোর্ট বিভাগ পুনরায় একই রুল প্রদান করেন যে, এভাবে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো কেন অবৈধ হবে না এবং রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জেলগেট হতে বা কোনো মামলার এজাহারে নাম না থাকলে গ্রেপ্তার না দেখাতে নির্দেশ প্রদান করে। কিন্তু গত ৩০ আগস্ট সব মামলার জামিননামা দাখিল করলেও যুবদল সেক্রেটারিকে না ছেড়ে ফের এজাহারে নাম না থাকা রামপুরা থানার আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে আবেদন করা হয়েছে। এভাবে হাইকোর্টের আদেশ না মেনে সকল মামলায় জামিনে থাকলেও জেলখানায় অবৈধ ভাবে আটকে রাখা মানবাধিকার এবং সাংবিধানিক অধিকার লংঘন। আমরা আবদুল মোনায়েম মুন্নার মুক্তি চাই।

এছাড়া যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট তানভীর হাসান সোহেল বলেন, যুবদল সেক্রেটারিকে গায়েবি মামলায় একের পর এক ফাঁসানো হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে একদিনের একই সময়ে রাজধানীর ভিন্ন ভিন্ন তিনটি স্থানের মামলার আসামি করা হয়েছে। একজন মানুষ কিভাবে একই সময়ে তিন জায়গায় থাকতে পারে। তিনি কি সুপারম্যান? বর্তমানে সব মামলায় তিনি জামিনে। আমরা তার মুক্তি চাই।

এছাড়া যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট জিল্লুর রহমান, সদস্য এডভোকেট মেহেদী হাসান জুয়েল, সাবেক ছাত্রনেতা এডভোকেট মাহফুজার রহমান ইলিয়াস, সাবেক ছাত্রনেতা এডভোকেট মাহমুদুল করিম সজল, সহ প্রায় ৩০-৩৫ জন আইনজীবী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

এআরএস