ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘সরকার শ্যামপুর, জিরানি, মান্ডা ও কালুনগর খাল নিয়ে যে প্রকল্প দিয়েছেন আমরা তা বাস্তবায়নে বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছি। দখলদারদের তালিকা করে তেমন সুফল পাওয়া যায় না। আমরা খালগুলো পাওয়ার সাথে সাথে প্রথম দফাতেই একটা বড় অংশ দখলমুক্ত করি। কিন্তু দেখা যায় যে, ভূমিদস্যরা কিন্তু থেমে থাকে না। সেজন্য খাল উদ্ধারে আমরা দীর্ঘস্থায়ীভাবে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার আওতায় আগাচ্ছি।’
গতকাল বুধবার দুপুরে ডেমরা এলাকায় মেন্দিপুর খেলার মাঠ পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময়কালে ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ পরিকল্পনার কথা জানান।
সোকওয়েল ও সেফটিক ট্যাংক নিয়ে করা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে যেটা অপরিকল্পিতভাবে হয়ে আসছে সেটা খুব দ্রুত যে সম্পন্ন হবে তা আশা করা যায় না। একদিকে যে নতুন বাসা-বাড়ি, স্থাপনা হচ্ছে তারা যেন নিজস্ব সোকওয়েল ও সেফটিক ট্যাংক স্থাপন করেন সেজন্য আমরা তাদেরকে অনুপ্রাণিত করছি। পয়ঃপ্রণালি বা পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা এখনো ওয়াসার কাছে। তারা কিন্তু এখন পর্যন্ত পয়ঃপ্রণালি নর্দমা তৈরি করতে পারে নাই এবং আদৌ কবে নাগাদ তৈরি করতে পারবে সেটার কিন্তু কোনো নিশ্চয়তা নাই। আমাদের যে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা রয়েছে সেটার প্রেক্ষিতে প্রত্যেক বাসা-বাড়ি, স্থাপনায় নিজস্ব সেপটিক ট্যাংক এবং সোকওয়েল থাকলে সেখান থেকে যে পানি আসবে সেটা পয়ঃবর্জ্য হবে না।’
অপরিকল্পিতভাবে হুটহাট চমক দেখালে খাল-নদীকে পয়ঃপ্রণালীর দূষণ হতে রক্ষা করা যাবে না উল্লেখ করে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এ সময় বলেন, ‘জিরানী, মান্ডা, কালুনগর ও শ্যামপুর খালে যে পয়ঃপ্রণালি সংযোগ রয়েছে সেগুলোকে আমরা অন্য দিকে ধাবিত করব। খালের পাশ দিয়ে পিট করে দিব। সেই পিট দিয়ে এগুলো মূল প্রণালি সংযোগে চলে যাবে। খালে যেন এই পানিটা নিষ্কাশন না হয়। পর্যায়ক্রমে আমরা এই কাজটি করব। এখনই তাৎক্ষণিকভাবে হয়তো আমরা অল্প সময়ের জন্য এই সুফল দিতে পারছি না। কিন্তু এগুলো ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন হলে ইনশাআল্লাহ পয়ঃপ্রণালি পানিটা আর খালে আসবে না। নদীতেও যাবে না। নদীর পানি যেভাবে দূষিত হচ্ছে সেটা থেকেও পর্যায়ক্রমে আমরা ধাপে ধাপে মুক্ত হবো।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, ২ নম্বর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সোয়ে মেন জো, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী বোরহান উদ্দিন, কাউন্সিলরদের মধ্যে ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ আতিকুর রহমান এবং সংরক্ষিত আসনের সেলিনা খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরএস