দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের জন্য তৃতীয় দিনের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমা কার্যক্রম চলছে। সোমবার (২০ নভেম্বর) সকাল ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের কার্যালয়ে ফরম বিক্রি শুরু হয়। এ কার্যক্রম চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
এদিন সকালেই মনোনয়ন ফরম নিতে আসেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। এছাড়াও বিভিন্ন আসনের বিপরীতে নেতারা মনোনয়ন ফরম কিনছেন, জমাও দিচ্ছেন। মনোনয়ন ফরম উত্তোলন ও জমা উপলক্ষে প্রতিদিনের মতো আজও বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে উৎসবের আমেজ ও নেতাকর্মীদের ভিড় চোখে পড়ে।
এদিকে, গতকাল রোববার নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন ফরম বিক্রির দ্বিতীয় দিনে আওয়ামী লীগের ১ হাজার ২১২টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে। এতে আয় হয়েছে ৬ কোটি ৬ লাখ টাকা। এ নিয়ে গত দুই দিনে ক্ষমতাসীন দলটির দুই হাজার ২৮৬টি মনোনয়নপত্র থেকে আয় হয়েছে ১১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। রোববার (১৯ নভেম্বর) ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসে মনোনয়নপত্র বিক্রি শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান দলটির দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
বিপ্লব বড়ুয়া জানান, ফরম বিক্রির দ্বিতীয় দিনে মনোনয়নপত্রগুলোর মধ্যে ১ হাজার ১৮০টি কেনা হয়েছে সশরীরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে। আর অনলাইনে ফরম নিয়েছেন ৩২ জন।
এবার মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে আওয়ামী লীগের প্রায় ২৫ কোটি টাকা আয় হতে পারে বলে জানিয়েছেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। রোববার সকালে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, মনোনয়নের ফরম বিক্রি ৫ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকা আওয়ামী লীগের কোষাগারে জমা হবে। এ সময় মনোনয়নের ক্ষেত্রে জনপ্রিয়, সৎ, যোগ্য, সাহসী, দুঃসময়ে-দুর্দিনে যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে মানুষের জন্য কাজ করেছে, তাদের সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে বলেও জানান আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ক্ষমতাসীন দলটির কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে ফরম সংগ্রহ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গোপালগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য গোপালগঞ্জ-৩ আসনের মনোনয়ন ফরম কেনেন। পরে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন তার নির্বাচনী এলাকার নেতাকর্মীরা।
আরএস