গ্রেপ্তারকৃত ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ৩৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি সদস্য ইমতিয়াজ হাসান বুলবুল সোহরাওয়ার্দী হৃদরোগ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোর রাতে মারা গেছেন। তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর না করে পোস্টমর্টেম করে চুপিসারে রাত ৯টায় পুলিশ প্রহরায় দাফন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।
ইশরাক হোসেন জানান, গত ২২ অক্টোবর প্রথমে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা বুলবুলের পকেটে জোর করে গাজা ঢুকিয়ে দিয়ে ওয়ারী থানার পুলিশকে খবর দিয়ে তাকে আটক করায়। পরে তাকে সেদিন ছেড়ে দিলেও ২৪ অক্টোবর ওয়ারী কাজী আরিফ স্কুলের সামনে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মীরা মারধর করে আবারও পুলিশে তুলে দেয়। এরপর তাঁকে থানায় অমানবিক শারীরিক নির্যাতন করা হয়। এসময় পরিবারের সদস্যরা তাকে দেখতে গেলে দেখতে দেওয়া হয়নি।
পরবর্তীতে বুলবুলের খোঁজে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে একাধিকবার গেলেও তার হদিস পাননি। গত ২০ তারিখে পরিবার নিশ্চিত হয় বুলবুল কাশিমপুর কারাগারে আছেন। এরপর সেখানে গিয়েও বুলবুলের সাথে দেখা করতে পারেনি তার পরিবারের সদস্যরা। ২৪ নভেম্বর বুকের ব্যাথায় পড়ে গেলে বুলবুলকে নেওয়া হয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে। পুরো বিষয় পরিবারের কাছে গোপন রাখা হয়েছিলো। বৃহস্পতিবার তিনি মৃত্যুবরণ করলে পরিবারকে জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার ভোর তিনটা ২০ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা বুলবুলকে মৃত্যু ঘোষণা করার পর থেকেই লাশ পুলিশের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যায়। এরপর মৃত্যু বুলবুলের ভাগিনা শ্যামল ও পলাশ (স্থানীয় কৃষক লীগ নেতা)-এর কাছে লাশের বিষয়ে পরিবারের অন্য সদস্যরা জানতে চাইলে দিনভর লাশ দাফন হয়ে গেছে, মর্গে আছে, পুলিশের কাছে আছে একেকবার এক কথা বলে বিভ্রান্তি করে। পরে রাত ৯টায় চুপিসারে দাফন কাজ সম্পন্ন করে পুরো বিষয় ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে।
এ বিষয়ে ওয়ারী থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের জানা নেই। এই নামে কোনো বিএনপি নেতাকে আমরা আটক কিংবা গ্রেপ্তার করিনি।
এআরএস