ডা. শফিকুর রহমান

বিপ্লব নস্যাতের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে জাতিকে সজাগ থাকতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২৪, ০৭:৫৪ পিএম

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার বিপ্লব নস্যাৎ করার জন্য ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। এ ব্যাপারে জাতিকে সজাগ সচেতন থাকতে হবে।

বলেন- যারা দাবি দাওয়া নিয়ে মাঠে নেমেছেন, তারা এতো দিন কোথায় ছিলেন? সাড়ে ১৫ বছর যেহেতু ধৈর্য ধরেছেন, আরও কিছুটা সময় ধৈর্যধারণ করুন। তাদের গুছিয়ে নেয়ার সুযোগ দিন। এ ধরনের কার্যক্রম জনগণ মেনে নিবে না। এ ধরনের দু:সাহস আবারো দেখালে জনগণ ক্ষমা করবে না। তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন কোনো ষড়যন্ত্রে পা না দেন।

সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোববার রাতে আনসারদের বিক্ষোভের সময় গুরুতর আহত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহকে দেখে সাংবাদিকদের ব্রিফ্রিংকালে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য ও ঢাকা ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, সহকারী সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন, কামাল হোসেন প্রমুখ।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ৫ আগস্ট দেশে পট পরিবর্তন হয়েছে। ছাত্র আন্দোলনে সামনের সারিতে থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। রোববার প্রশাসনিক কেন্দ্র বিন্দু সচিবালয়ে আন্দোলনের নামে কিছু উশৃঙ্খল আনসার সদস্য গায়ের জোরে ঢুকে পড়েছিল। যারা জীবন দিয়ে, রক্ত ঝড়িয়ে বুলেটের মুখে ফ্যাসিবাদী সরকারকে পলায়ন করতে বাধ্য করেছিল, সেই ছাত্ররা এসেছিল, তাদের কথা শুনার জন্য, শান্ত করার জন্য। কিন্তু তারা সব কিছুর সীমা ছাড়িয়ে ছাত্রদের উপর আঘাত করে। বাধ্য হয়ে ছাত্ররা প্রতিরোধ গড়ে তুলে। এ সময় হাসনাত আবদুল্লাহসহ অনেকে আহত হয়। আমি আশা করছি, আল্লাহ তাকে দ্রুত সুস্থতার নেয়ামত দান করবেন।

তিনি বলেন, একটা গণবিপ্লবের মধ্যদিয়ে বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদ দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। ষড়যন্ত্রকারীরা বারবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এজন্য গোটা জাতিকে সজাগ থাকতে হবে।

দাবি দাওয়া নিয়ে বিভিন্ন মহলের আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মাত্রইতো তারা দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এতোদিন আপনারা কোথায় ছিলেন? এতদিন দাবি জানান নি কেন? তারা জনগণের অনুরোধে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। তাদের কাজ করার সুযোগ দিন। তাদের এভাবে ব্যতিব্যস্ত রাখলে কাজ করবে কী করে?

বলেন, সাড়ে ১৫ বছর যেহেতু ধৈর্য ধরেছেন, আরও কিছুটা সময় ধৈর্য ধারণ করুন। তাদের গুছিয়ে নেয়ার সুযোগ দিন। তিনি বলেন, এধরনের কার্যক্রম জনগণ মেনে নিবে না। এ ধরনের দুঃসাসহ আবারো দেখালে জনগণ ক্ষমা করবে না। তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন কোন ষড়যন্ত্রে পা না দেন।

প্রধান উপদেষ্টার জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণের বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা দায়িত্বপূর্ণ ভাষণ হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এতে জাতির আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে। দেশবাসীর আশা পূরণ হবে।

ইএইচ