দেশে শান্তি রয়েছে উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, ‘এটাই প্রকৃত শান্তি নয়। আল্লাহর আইন চালু হলেই প্রকৃত শান্তি পাওয়া যাবে। মানুষের গোলামি থেকে মানুষকে বের করতে হবে। আল্লাহর গোলামিতে আনতে হবে।’
বুধবার(১১ সেপ্টেম্বর) ফেনী শহরের দক্ষিণ চাঁড়িপুর এলাকায় বন্যা দুর্গত মানুষদের মাঝে খাদ্য ও উপহারসামগ্রী প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জামায়াতের নায়েবে আমির আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ ১৭ বছর ধরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভোট দিতে পারিনি। কথা বলতে পারিনি। জিনিসপত্রের দাম দুষ্প্রাপ্য হয়েছে। কোনো এক জায়গায় দাঁড়ালে উগ্রবাদী তকমা দিয়ে ধরে নিয়ে গেছে। একটি মাস ছাত্ররা বৈষম্যের বিরুদ্ধে তথা জালেমের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে। সেটি বিজয় লাভ করেছে। অনেকের জীবন চলে গেছে। কত হাজার মানুষ চোখ হারিয়েছে। তারা জীবন দিয়ে জালেম থেকে দেশের মজলুম মানুষদেরকে মুক্ত করেছে।
তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার চিরদিন ক্ষমতায় থাকার জন্য আসেনি। তাদের কাজ সংস্কার করা। সংস্কার মানে অন্যায়-খারাপ লোককে সরিয়ে ভালো লোককে বসাতে হবে। যাতে মানুষের ওপর ইনসাফ করে। যৌক্তিক সময় ছয় থেকে নয় মাস কিংবা এক বছরের মধ্যে তারা তা করবে। আমরাও কম সময়ের মধ্যে সংস্কার করার দাবি জানাচ্ছি।
অধ্যাপক মজিবুর ইতিহাস আছে ক্ষমতার লোভে পেলে নিজেরাই ক্ষমতা দখল করে। এর আগে আর্মিরা নিজেরা দখল করে দেশ শাসন করছে। এরশাদের খবর সবার জানা। বর্তমান জাতীয়তাবাদী দলের ভিত্তিও ওভাবেই হয়েছে।আর কেউ ক্ষমতার লোভে পড়ে জালেমের দিকে নিয়ে চলে যাক সেটা আমরা চাই না।
এসময় স্থানীয় পৌর ১২নম্বর ওয়ার্ড আমির মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জামায়াতের জেলা আমির এ.কে.এম শামছুদ্দীন। উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, জামায়াতের জেলা সেক্রেটারি মুফতি আবদুল হান্নান, শহর সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার নজরুল ইসলাম, ওয়ার্ড বায়তুল মাল সম্পাদক মাওলানা তোফায়েল আহমেদ, স্থানীয় জামায়াত নেতা গোলাম সারওয়ার সোহাগ, ওয়ার্ড শিবির সভাপতি শরীফুল ইসলাম প্রমুখ।
বিআরইউ