জামায়াতের মহিলা বিভাগীয় কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি

জাতিকে উন্নত করতে নারী-পুরুষের চারিত্রিক বিশুদ্ধতা প্রয়োজন

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২৪, ০৩:৫৬ পিএম

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মহিলা বিভাগীয় কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহতারিমা নূরুন্নিসা সিদ্দিকা বলেছেন, দেশ ও জাতিকে বিশ্বের বুকে উন্নত করতে নারী পুরুষের চারিত্রিক বিশুদ্ধতা প্রয়োজন। রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বে সবচেয়ে বিনয়ী ও সম্মানের জাতি হিসেবে আমরা তখনই দেশকে উপস্থাপন করতে সক্ষম হবো যখন প্রতিটি নাগরিকের মাঝে মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটবে, আমাদের আধ্যাত্মিকতার বিকাশ পরিলক্ষিত হবে। মানুষ তার আধ্যাত্মিক উৎকর্ষতার জন্যই মানুষ হিসেবে পরিচিত।

নূরুন্নিসা সিদ্দিকা বলেছেন, পৃথিবীতে প্রেরিত নবি-রসুলগণ যেমনিভাবে ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রকে পরিশুদ্ধ করেছেন তেমনি চারিত্রিক পরিশুদ্ধতা নিয়েই পৃথিবীকে গড়তে হবে।

শনিবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলস্থ-ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনের মাল্টিপারপাস হলে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ মহিলা বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত সিরাতুন্নবি (সা) এর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ মহিলা বিভাগীয় সেক্রেটারি আয়েশা সিদ্দিকা পারভীনের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ মহিলা বিভাগীয় সহকারী সেক্রেটারি ডাক্তার শিরীন আক্তার রুনার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন— বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগীয় কর্মপরিষদ সদস্য, বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের সেক্রেটারি এবং লিগ্যাল এইড বাংলাদেশের নির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট সাবিকুন্নাহার মুন্নী, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মহিলা বিভাগীয় সহকারী সেক্রেটারি মাহবুবা খাতুন শরিফা, জান্নাতুল কারীম সুইটি, লালমাটিয়া মহিলা কলেজের প্রাক্তন সহযোগী অধ্যাপক ফেরদৌস আরা খানম বকুল।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন— মহানগরী দক্ষিণের মহিলা বিভাগীয় সহকারী সেক্রেটারি ডাক্তার শাহানা পারভিন লাভলী, কর্মপরিষদ সদস্য নুরজাহান আক্তার, রিকতা বেগম, উম্মে কুলসুম রিনা, দিলারা বেগম, নার্গিস খান, মাহমুদা নাজনীন, রাবেয়া খানম, তানহা আজমী, সেলিনা পারভীন, সেলিনা আক্তার, কামরুন নাহার তুরানী সহ মহিলা বিভাগীয় বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যবৃন্দ।

প্রধান আলোচক অ্যাডভোকেট সাবিকুন্নাহার মুন্নী বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) এর লাইফ স্টাইল সমগ্র জাতির জন্য অনুস্মরণীয়। মুসলিম-অমুসলিম সকলের জন্য তা কল্যাণকর। কর্তব্য দায়িত্বের মধ্যে সমানুপাতিক হারে ভারসাম্য রক্ষা করা রাসূল (সা) এর নীতি। রাসূল (সা) এর নীতি বা ইসলামকে মেনে চলার চেয়ে স্মার্ট জীবন বিশ্বে দ্বিতীয়টি নেই। সুতরাং জীবনের সকল ক্ষেত্রে রাসূল (সা) কে গ্রহণ করার মাঝেই সত্যিকার কল্যাণ রয়েছে।

সিরাতুন্নবী (সা) এর আলোচনা সভায় সিরাত উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা ও বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

বিআরইউ