জামায়াতে ইসলামী মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিল না। তবে ভারতের সহযোগিতায় স্বাধীনতার সুফল না পাওয়ার শঙ্কা ছিল দলটির।
সম্প্রতি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেছেন জামায়াতের ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিল না। আমরা আশঙ্কা করেছিলাম, ভারতের সহযোগিতায় যদি দেশ স্বাধীন হয় তাহলে স্বাধীনতার সুফল পাওয়া যাবে না। এরপরেও এটা সঠিক যে- জামায়াত চেয়েছিল এক পাকিস্তান। কিন্তু পরবর্তীতে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী তাদের নিপীড়ন, নির্যাতন, খুন এবং নানা ধরনের অপকর্মের কারণে সারা জাতি ফুসে উঠেছিল, মুক্তিযুদ্ধ অনিবার্য হয়ে উঠেছিল। তখন মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, দেশ স্বাধীন হয়েছে। এরপর স্বাধীন বাংলাদেশকে আমরা আমাদের কলিজা দিয়ে ভালোবেসে কবুল করে নিয়েছি।
রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় যায় তখন তাদের নিষিদ্ধের ঘোর পেয়ে বসে। নিষিদ্ধের রাজনীতি আমাদের সমর্থনের বিষয় না। এটি জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিষয়। অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে কিনা, সেটি জনগণই ঠিক করবে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার কিছু সংস্কার করবে আর কিছু সংস্কার করবে নির্বাচিত সরকার। আমরা মনে করি নৈতিক দায়বদ্ধতা আছে বর্তমান সরকারের। তারা তাড়াহুড়া নেই বলে এই বিষয়টি টেনে লম্বা যেনো না করে এই কথা আমরা বারবার বলেছি।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ বছরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনে দলটির শীর্ষ কয়েকজন নেতাদের ফাঁসি দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় দলটিকে। সব মিলিয়ে বেশ কায়দা করেই রাজনীতির মাঠে টিকে থাকতে হয়েছে দলটির নেতা-কর্মীদের। ৫ আগস্ট এর গণঅভ্যুত্থানের পর অনেকটা মধুর সময় পার করছে জামায়াত।
বিআরইউ