তারেক রহমান

মানবকল্যাণে সম্পৃক্ত থাকলেই স্রষ্টার সন্তুষ্টি অর্জনে সক্ষম হব

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪, ১০:৩৯ পিএম

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, মহামানবদের জীবন দর্শন যথাযথভাবে উপলব্ধি করতে পারলেই মানবকল্যাণে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করা সম্ভব। আর তাহলেই স্রষ্টার সন্তষ্টি অর্জনে আমরা সক্ষম হবো।

মঙ্গলবার বড়দিন উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি একথা বলেন।

বাণীতে শুভ বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব খৃষ্ট ধর্মাবলম্বীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং তাদের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন তারেক রহমান।

তিনি বলেন, ‘সত্যনিষ্ঠা, ন্যায়নীতি, শান্তি, করুণার দিশারী মহান যীশুখৃষ্টের এদিনে পৃথিবীতে আগমণ ঘটে। বিশ্বের সকল খৃষ্ট ধর্মাবলম্বীর কাছে তাই এ দিনটি অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত। তিনি এসেছিলেন মানবিক বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করতে। বিশ্বের একটি বড় জনগোষ্ঠীর মানুষ যীশুখৃষ্টের ধর্ম ও দর্শনের অনুসারী।

তিনি বলেন, সব ধর্মের মর্মবাণী শান্তি, সহাবস্থান ও মনুষ্যত্বের অনুসন্ধান। যুগে যুগে মহামানবগণ নিঃস্বার্থ আত্মনিবেদনের মাধ্যমে মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে চলার পথপ্রদর্শক হয়েছিলেন। মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন অসত্যের বিনাশ সাধন করে উন্নত নৈতিক উৎকর্ষতা অর্জনের মধ্য দিয়ে সমষ্টিগত সুখময় জীবন গড়ে তুলতে। মহান যীশুখৃষ্টও একইভাবে তার অনুসারীদের নিরলস, একনিষ্ঠভাবে মানবপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করেছেন।’

তারেক রহমান বলেন, ‘মানুষ হিসেবে আমাদের কর্তব্য দেশ, সমাজ ও মানুষের কল্যাণে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করে যাওয়া। হিংসা ত্যাগ করে সমাজে শান্তি ও স্থিতি প্রতিষ্ঠা এবং সব ধরনের অবিচার-নির্মমতা প্রতিরোধে আমাদের সকলকে অঙ্গীকারাবদ্ধ হওয়া অত্যন্ত জরুরি। মহামানবদের জীবন দর্শন যথাযথভাবে উপলব্ধি করতে পারলেই মানবকল্যাণে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করা সম্ভব। আর তাহলেই স্রষ্টার সন্তষ্টি অর্জনে আমরা সক্ষম হব। আমি বড়দিনের সব কর্মসূচির সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করি।’

ইএইচ