জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহিদরা জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন দেশটাকে ভালোবেসে। তারা কোনো কিছু পাওয়ার আশায় জীবন দেননি। এসব শহিদের দায়ভার আমাদের ওপর রয়েছে। তাদের দায়িত্ব আমাদের ওপর রয়েছে। ভুলে গেলে চলবে না- এ অভ্যুত্থানে যারা শহিদ হয়েছেন, যারা আহত হয়েছেন তাদের দায়বদ্ধতা এবং তাদের রক্তের দায়বদ্ধতা আমরা যারা জীবিত আছি তাদের ওপর রয়ে গেছে।
তিনি বলেন, প্রত্যেকটা রাজনৈতিক সচেতন মানুষকে এসব আহত নিহতদের দায় নিতে হবে। তারা রাস্তায় আন্দোলনে নেমে জীবন দিয়েছেন নিজের প্রাপ্তির জন্য না। নিজে কিছু পাবে এবং পদ-পদবি পাবে- এমন কিছু প্রত্যাশা নিয়ে তারা আন্দোলনে এসে জীবন দেননি। জীবন দিয়েছেন মানুষের অধিকার এবং গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিতের জন্য। তারা জীবন দিয়েছেন দেশটাকে ভালোবেসে দেশের উন্নয়নের জন্য, দেশের ভালোর জন্য।
বুধবার দুপুরে কুমিল্লার দেবিদ্বারে ৫ আগস্ট পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে মারা যাওয়া ভ্যানচালক আব্দুস সামাদের জানাজাপূর্ব বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দেবিদ্বার উপজেলা ধামতী হাবিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
হাসনাত বলেন, দেশের প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষের গণআন্দোলনের কারণেই দেশ ফ্যাসিস্টমুক্ত হয়েছে। সাধারণ জনতার আত্মত্যাগ ছাড়া কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে এ আন্দোলন সফল করা সম্ভব ছিল না। ছাত্র-জনতা একীভূত হওয়ার কারণেই ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে।
এ সময় তিনি শহিদ আব্দুস সামাদের পরিবারের দায়ভার নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। এছাড়া যে যার জায়গা থেকে এসব শহিদ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে নিজের দায় পরিশোধের জন্য আহ্বান জানান।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল হাসনাত খান, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এএফএম তারেক মুন্সি, কুমিল্লা উত্তর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম শহীদ, দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুদ্দীন ইলিয়াসসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চূড়ান্ত বিজয় মুহূর্তে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হন ভ্যানচালক আব্দুস সামাদ। মঙ্গলবার ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
আরএস