৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ নেতার পদ স্থগিত

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: মার্চ ৮, ২০২৫, ০৫:২৪ পিএম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশের উদ্যোগে গঠিত বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের এক কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারনেট সংযোগকারী প্রতিষ্ঠান থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে তার পদ স্থগিত করা হয়েছে। অভিযুক্ত ওই ছাত্রনেতার নাম গোলাম কিবরিয়া অপু। তিনি সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক।

শনিবার (৮ মার্চ) রাতে সংগঠনটির সদস্য সচিব জাহিদ আহসানের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে পদ স্থগিতের বিষয়টি জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাংগঠনিক আচরণবিধি ভঙ্গ ও নৈতিক স্খলনজনিত কারণে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া অপুর বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ এর সদস্য পদ স্থগিত করা হলো। তাকে কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না এজন্য এক কার্যদিবসের মধ্যে আহ্বায়ক বরাবর সদুত্তর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।

এর আগে ওই ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে শুক্রবার রাতে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে এক পোস্ট লেখেন, আমার এলাকার এক ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্রডব্যান্ডের ইন্টারনেটের ব্যবসা করে। সে বেশ কয়েকদিন কল দিয়ে সাক্ষাৎ করতে চাচ্ছিল। সময় দিতে পারিনি। আজ তাকে অফিসে আসতে বলি। সে আজ অফিসে এসে আমাকে জানায়, তার কাছে ৫০০০০ টাকা চাঁদা দাবি করেছে নতুন ছাত্র সংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া অপু। গোলাম কিবরিয়া অপু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

তিনি লেখেন, ছেলেটি আজ আমার কাছে এসে অভিযোগ দেয়। আমি তার কাছে তথ্যপ্রমাণ চাই। সে আমাকে রেকর্ড শোনায়। আমি তাকে বলি, অপুকে কল দাও। কল দিলে দেখি ঘটনা সত্য, সে ৫০০০০ চায়, পরে ৩০০০০ দেওয়ার জন্য বলে। এসময় অফিসে ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য শহিদুল ফাহিম। ফাহিম কথোপকথন সংরক্ষণ করে রাখে। আমি বিষয়টি জানানোর জন্য সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকেরকে কল করি, তাকে না পেয়ে সংগঠনের সদস্য সচিব জাহিদ আহসানকে অবহিত করি। সে ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে এবং আমাকে তথ্যপ্রমাণ পাঠাতে বলে। নতুন রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন নতুন আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য গঠিত হয়েছে। আমি তাদের সাফল্য কামনা করি।

তিনি আরও লেখেন, কিন্তু সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত কেউ ছাত্রলীগের স্টাইলে হলে দখলদারত্ব ও চাঁদাবাজির সাথে সম্পৃক্ত হোক, সেটি প্রত্যাশা করি না। আশা করি, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ অপুর বিরুদ্ধে যথাযথ সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

আরএস