বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম বলেছেন, "হাসিনা চলে গেছে কিন্তু ভাইয়েরা ষড়যন্ত্র যায়নি। সবচেয়ে দুঃখজনক হলো, যারা গত ১৫ বছর আমাদের মাঝে ছিলো না, যাদের কখনো আন্দোলন-সংগ্রামে দেখা যায়নি, তারা এখন আওয়ামী লীগ ফিরে আসতে চাচ্ছে, আমাদের ঘাড়ের উপর সওয়ার হয়ে।"
তিনি বলেন, "বাংলাদেশ এখন সবচেয়ে বড় ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। আমরা এখনো ভোটাধিকার পাইনি। আমাদের অনেক ভাই-বন্ধু এখনও একটি ব্যালট পেপারের বাক্সে ভোট দিতে পারেনি। শেখ হাসিনা নির্বাচনকে একটি তামাশায় পরিণত করেছে। সেই ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের সর্বাত্মক যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে।"
রোববার বিকেলে ফরিদপুর শহরের অম্বিকা ময়দানে ফরিদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েলের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিল পূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামা ওবায়েদ একথা বলেন।
শামা ওবায়েদ আরও বলেন, "আমাদের ১৭ বছরের যেই যুদ্ধ, যেই কষ্ট, যে অনাচার, যেই ত্যাগ, যেই তিতিক্ষা, সেখানে সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন আমাদের গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়া। উনাকে অন্যায়ভাবে ছয়টি বছর মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটকে রাখা হয়েছিল। বন্দি অবস্থায় তাকে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিলো বলেও আমরা শুনেছি। উনাকে বলা হয়েছিলো যে, `আপনি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চান, তাহলে আপনাকে জামিন দেওয়া হবে।` কিন্তু তারপরও তিনি স্বৈরাচারের কাছে মাথানত করেননি। বাংলাদেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, স্বাধীনতার জন্য, সার্বভৌমত্বের জন্য সবচেয়ে বড় স্যাক্রিফাইসটা করেছেন খালেদা জিয়া।"
সভায় আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ঈসা, যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ, ফজলুল হক টুলু, আজম খান, ড্যাবের জেলা শাখার সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান শামীম, জেলা যুবদলের সভাপতি মো. রাজিব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোজাম্মেল হোসেন মিঠু, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল ইসলাম রুমান প্রমুখ।
এ সময় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এএফএম কাইয়ুম জঙ্গি সহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু কামনা এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়।
ইএইচ