জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে ইতিবাচক ও বাস্তবসম্মত সংস্কারে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে আয়োজিত সংলাপে জামায়াতের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকা নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণকর সংস্কারে জামায়াত পরিপূর্ণভাবে ঐকমত্য পোষণ করে।’
তিনি বলেন, ‘মানুষের মধ্যে হতাশা গভীর। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। তবে, স্বাধীনতার প্রকৃত অর্জন সময়ই নির্ধারণ করবে। অতীতের মতো যেন এই সুযোগ হারিয়ে না যায়, সে জন্য সতর্কতা ও প্রয়োজন হলে কঠোরতার প্রয়োজন রয়েছে।’
স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে জামায়াতের দৃঢ় অবস্থানের কথা জানিয়ে তাহের বলেন, ‘আমরা কোনো রাষ্ট্রের রক্তচক্ষুকে ভয় করি না। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় কাউকে হস্তক্ষেপ করতে দেব না।’
সংলাপে সৈয়দ তাহের বলেন, ‘জামায়াত টেকসই গণতন্ত্রের চর্চা করে। আমাদের দলে নির্ধারিত সময়ে গোপন ব্যালটে নির্বাচন হয়। আমরা এমন একটি জাতীয় নির্বাচন চাই, যা দুনিয়ায় স্বীকৃত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভোট ছাড়া নির্বাচিত হওয়া বড় দুর্নীতি। আজকের জাতীয় দুরবস্থার জন্য দুর্নীতিই সবচেয়ে বেশি দায়ী। জামায়াত দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চায়।’
জামায়াতের প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, সাবেক এমপি ড. হামিদুর রহমান আজাদ, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মুনির।
বিআরইউ