মুসল্লিদের পদচারণায় মুখর তুরাগ তীর

আব্দুল্লাহ আল নোমান প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২৪, ০৪:৫৪ পিএম
ছবি: আমার সংবাদ

বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে দলে দলে আসতে শুরু করেছেন হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলিম।

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) ভোরে আম বয়ানের মাধ্যমে শুরু হবে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। শেষ হবে ৪ ফেব্রুয়ারি। আর দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে। শেষ হবে ১১ ফেব্রুয়ারি। আর এটিকে কেন্দ্র করে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল থেকেই সারা দেশের হাজার হাজার মুসল্লিরা দলে দলে সমবেত হচ্ছেন ইজতেমা মাঠে।

সরে জমিনে দেখা যায়, এরইমধ্যে ইজতেমা ময়দানের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় ছাড়াও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

ইজতেমা ময়দানে ১৬০ একর জমিতে প্রায় সম্পন্ন হয়েছে শামিয়ানা টাঙানো। আগত মুসল্লিরা মাঠে জেলাওয়ারি বিভক্ত খিত্তায় উঠেছেন। মুসল্লিদের সুবিধার্থে পানি সরবরাহ, পয়ঃনিষ্কাশন, টয়লেট ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বেলা এগারোটায় ইজতেমার মাঠ পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ পুলিশের প্রধান (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্ব ইজতেমার নিরাপত্তায় ব্যবস্থায় বোম ডিসপোজাল ইউনিট, সোয়াট টিম, ডগ স্কোয়াড, বিষ্ফোরক প্রশিক্ষক টিম, ক্রাইম সিন, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, নৌ বহর ও হেলিকপ্টারের টহল ব্যবস্থা প্রস্তুত থাকবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসি টিভি ক্যামেরা, আইপি ক্যামেরা ও নাইট ভিশন ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে। কোনরকম গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।

এর আগে ইজতেমা মাঠ পরিদর্শন করেন র‌্যাব ডিজি খুরশিদ আলম। বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে কোন রকম নাশকতার তথ্য নেই বলে জানান র‌্যাব প্রধান।

রাজশাহী থেকে ইজতেমায় আসা আসা মুসল্লি হুমায়ুন কবির জানান, এইবার নিয়ে ১৮ বার বিশ্ব ইজতেমায় এসেছেন। ভালো জায়গার জন্য এবার দুদিন আগে এসেছেন। গত বছরের তুলনায় এবার আগত মুসল্লিদের সমাগম বেশি হবে বলেও আশাবাদী তিনি।

এবারের ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তায় মাঠের ভেতরে ও বাইরে নিয়োজিত থাকবে ৬ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। এ ছাড়া রয়েছে দুই শতাধিক সিসিটিভি ও ১৪টি ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হবে পুরো ইজতেমা মাঠ। আইনশৃংখলা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন থাকবে।

এইচআর