পবিত্র মাহে রমজান মাস শুরু হতে আর মাত্র দুদিন সময় হাতে আছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এ মাসে রোজা পালন করবেন। রোজার মাস শুরু হওয়ার আগে বেশকিছু প্রস্তুতি নিতে হয় মুসল্লিদের। এক্ষেত্রে যেসব বিষয়গুলো লক্ষ রাখা যেতে পারে।
রমজান মাসে জামাতে নামাজ আদায়ের প্রতি যত্নবান হওয়া উচিত। জামাতে নামাজ আদায় করলে তাকে দুটি মুক্তির ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এক. জাহান্নাম থেকে মুক্তি এবং দুই. মুনাফেকি থেকে মুক্তি।
নবী (সা.) বলেন, ‘রমজান মাসে যে ব্যক্তি একটি নফল আদায় করল, সে যেন অন্য মাসে একটি ফরজ আদায় করল। আর যে এ মাসে একটি ফরজ আদায় করল, সে যেন অন্য মাসে সত্তরটি ফরজ আদায় করল।’ (বায়হাকি)
রমজানে কোরআন তেলাওয়াতে মনোযোগী হতে হবে।
রোজার মাসে গুনাহের কাজ থেকে বিরত থাকার অনুশীলন করতে হবে। পরনিন্দা, অনর্থক কথাবার্তা এবং চোখের গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করতে হবে।
নবী (সা.) রজব মাসের চাঁদ দেখার পর থেকে দোয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ, রজব ও শাবান মাসে আমাদের জন্য বরকত দান করুন আর আমাদের রমজান মাস পর্যন্ত পৌঁছে দিন।’ (মুসনাদে আহমদ)
নবী (সা.) রমজানে অধিক পরিমাণে দান করতেন। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) পৃথিবীর সব মানুষ অপেক্ষা অধিক দানশীল ছিলেন। রমজান মাসে তার দানের হাত আরও প্রসারিত হতো। (বুখারি)
ইএইচ