রাজধানী শহরে যানজট নিত্যদিনের। জ্যামে প্রাইভেট কার নিয়ে আটকে থাকলে কয়েকটি কাজ আপনাকে অবশ্যই করতে হবে। না হলে আপনার ও গাড়ির ক্ষতি হতে পারে।
জ্যামে থাকাকালীন কয়েকটা বিষয় মাথায় রাখা উচিত যা ইঞ্জিনকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাবে। বিশেষ করে এই সময় ইঞ্জিনের তাপমাত্রার উপর খেয়াল রাখা উচিত। গাড়ির যত্ন না নিলে তা খারাপ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই ট্র্যাফিক জ্যামে আটকে পরলে অবশ্যই এই পাঁচটি টিপস মেনে চলুন।
ইঞ্জিনের তাপমাত্রা
আপনার গাড়ি যে রকমই হোক না কেন তাপমাত্রা দেখার একটি ইন্ডিকেটর থাকে। আর যে সব গাড়িতে আধুনিক ডিজিটাল ড্রাইভার ডিসপ্লে রয়েছে সেখানে অটোমেটিক তাপমাত্রা দেখিয়ে দেয়। সি থেকে এইচ পর্যন্ত একটি লেবেল থাকে। যদি ইন্ডিকেটর এইচ দেখায় অথবা ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হয়ে যায় তাপমাত্রা তাহলে অবিলম্বে গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ করে দেওয়া উচিত। উচ্চ তাপমাত্রা গাড়ির রেডিয়েটর, কুল্যান্ট পাম্পসহ একাধিক পার্টস খারাপ করে দিতে পারে।
কিল ইঞ্জিন সুইচ
ট্র্যাফিক জ্যামে একটানা ইঞ্জিন চালু রাখলে তা খারাপ হতে পারে। যদি মনে হয়, এই ট্রাফিকে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়াতে হবে তাহলে ইঞ্জিন বন্ধ করে দেওয়া উচিত। পাশাপাশি ইঞ্জিন ওয়্যারিং চেক লাইটের দিকেও নজর রাখা উচিত। যার মাধ্যমে ইঞ্জিন মিস ফায়ারিং এবং ফুয়েল সিস্টেম খারাপ হয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
এসি বন্ধ করে জানলা খুলে দিন
সাধারণ অবস্থায় জানলা বন্ধ রেখে এসি ব্যবহার করলে বেশ আরাম পাওয়া যায়। কিন্তু, দীর্ঘ ট্র্যাফিক জ্যামে তা করা উচিত না। গরম আবহাওয়া, যানজটে আটকে থাকার সময় এসি ব্যবহারে সতর্ক হোন। এর ফলে ইঞ্জিনের উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়। আপনি যদি এসি বন্ধ করে রাখেন তাহলে কিছুটা হলেও বেশি মাইলেজ পেতে পারেন।
ক্লাচ প্লেট পুড়ে যায়
শহরের রাস্তায় বাম্পারের সংখ্যা অনেক। তার উপর দীর্ঘ ট্র্যাফিক জ্যাম। এমতাবস্থায়, গাড়ির ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হল ক্লাচ প্লেটের ক্রমাগত ব্যবহার। যার ফলে অতিরিক্ত চাপ তৈরি হয় এবং গাড়ি ব্রেকডাউন করে যেতে পারে। তাই এই সময় নিউট্রাল রাখা উচিত বলে মনে করেন অনেকে।
দূরত্ব বজায় রাখুন
প্রত্যেক গাড়ি চালকদের ক্ষেত্রে দূরত্ব বজায় রাখার থাম্ব রুল মেনে চলতে বলা হয়। কিন্তু, শহরের ট্র্যাফিক পরিস্থিতিতে তা মেনে চলতে পারেন না অনেকেই। যার ফলে ছোট স্ক্র্যাচ বা দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই পরিস্থিতি মাফিক সামনের গাড়ির সঙ্গে পর্যাপ্ত দূরত্ব বজায় রাখা উচিত।
এইচআর