দেশে ফেসবুক ব্যবহারে নারী-পুরুষের অবস্থান

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: মার্চ ২২, ২০২৪, ০৪:৪৮ পিএম

ফেসবুকে দেশের নারী ব্যবহারকারীদের উপস্থিতি বাড়ছে। কমছে পুরুষ ব্যবহারকারী। গত এক বছরে দেশে নারী ফেসবুক ব্যবহারকারী বেড়েছে ২ দশমিক ৭ শতাংশ। আর গত এক মাসে ফেসবুকে দেশের নারীদের উপস্থিতি বেড়েছে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ।

তাছাড়া এক বছরের ব্যবধানে ম্যাসেঞ্জারে নারীদের উপস্থিতি বেড়েছে ২ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে উল্টোচিত্র দেখা গেছে ইনস্টাগ্রামে। জনপ্রিয় এ মাধ্যমে বাংলাদেশি নারী ব্যবহারকারী ১ দশমিক ১ শতাংশ কমে গেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবস্থাপনার প্ল্যাটফর্ম নেপোলিয়নক্যাটের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। পোল্যান্ডভিত্তিক এ প্রতিষ্ঠানটি প্রতি মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করে থাকে।

নেপোলিয়নক্যাটের তথ্য বলছে, বর্তমানে বাংলাদেশে ফেসবকু ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬ কোটি ৩৯ লাখ ৫৫ হাজার ১০০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৬৫ দশমিক ২ শতাংশ। আর নারী ৩৪ দশমিক ৮ শতাংশ। অর্থাৎ, প্রতি ১০০ জন ব্যবহারকারীর মধ্যে নারী প্রায় ৩৫ জন এবং পুরুষ ৬৫ জন।

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে নারী ব্যবহারকারী ৩২ দশমিক ১ শতাংশ এবং পুরুষ ছিলেন ৬৭ দশমিক ৯ শতাংশ। সে হিসাবে নারী ব্যবহারকারী বেড়েছে ২ দশমিক ৭ শতাংশ। আর একই হারে কমেছে পুরুষ ব্যবহারকারী।

এদিকে, বর্তমানে দেশে ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জার ব্যবহারকারী ৫ কোটি ৭২ লাখ ৬৫ হাজার ৮০০ জন। দেশে ম্যাসেঞ্জার ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৬৬ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৪ শতাংশ নারী।

এক বছর আগে অর্থাৎ ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ম্যাসেঞ্জার ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৩১ দশমিক ৪ শতাংশ ছিলেন নারী। আর পুরুষ ছিলেন ৬৮ দশমিক ৬ শতাংশ। অর্থাৎ ২ দশমিক ৬ শতাংশ নারী ব্যবহারকারী বেড়েছে এবং একই হারে পুরুষ ব্যবহারকারী কমে গেছে।

তবে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে ইনস্টাগ্রামে। নেপোলিয়নক্যাটের তথ্যানুযায়ী—এক বছরের ব্যবধানে ইনস্টাগ্রামে দেশের নারী ব্যবহারকারী কিছুটা কমেছে। বেশি। বর্তমানে দেশে প্রতি ১০০ জন ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীর মধ্যে ৬৬ জনই পুরুষ। বাকি ৩১ জন নারী। শতাংশের হিসাবে নারী ৩০ দশমিক ৮ এবং পুরুষ ৬৯ দশমিক ২ শতাংশ।

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ইনস্টাগ্রামে বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের মধ্যে নারী ছিল ৩১ দশমিক ৯ শতাংশ। বর্তমানে অর্থাৎ, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে নারী ব্যবহারকরী কমে দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক ৮ শতাংশ। এর অর্থ হলো—ইনস্টাগ্রামে নারীদের চেয়ে বাংলাদেশি পুরুষ ব্যবহারকারী বেড়েছে।

ফেসবুকে এখনো পুরুষের চেয়ে নারীদের উপস্থিতি অনেক কম। তবে এক বছরের ব্যবধানে নারী ব্যবহারকারী বেড়েছে।

এইচআর