বন্যা তহবিলে অনুদান পাঠানো নিয়ে আস-সুন্নাহর নতুন বার্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২৪, ১১:১০ এএম

শায়খ আহমাদুল্লাহর আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের বন্যা তহবিলে আর কোন টাকা না পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টা পর্যন্ত বন্যা তহবিলে অনুদান সংগ্রহ কার্যক্রম শেষ হচ্ছে।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সেখানে উল্লেখ করা হয়, ‘আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন বন্যা তহবিলে অনুদান পাঠানোর শেষ সময় আগামী মঙ্গলবার রাত ১২টায়। এরপর বন্যা তহবিলে টাকা না পাঠানোর জন্য বিনীত অনুরোধ করা হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ের পর কেউ টাকা পাঠালে সেটা পরবর্তী বন্যা-দুর্যোগে ব্যয় করা হবে।’

এর আগে গত বৃহস্পতিবার আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ জানান, এরই মধ্যে বন্যা তহবিল ১০০ কোটি টাকা জমা হয়েছে।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ফেসবুক পেজে জানানো হয়, চলছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন কর্তৃক বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ প্রস্তুতির বিশাল কর্মযজ্ঞ। আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫০০ টন, যা এখন ৭০০ টনে পৌঁছাচ্ছে। প্রয়োজন সাপেক্ষে আরও বর্ধিত হবে ইনশাআল্লাহ।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছিলো, প্রথম ধাপে তারা ২০ হাজার পরিবারকে দিচ্ছি ২ কেজি খেজুর, ২ কেজি চিড়া, ১ কেজি লবণ, ১ কেজি চিনি, বনরুটি, কেক, বোতলজাত পানি, মোমবাতি ও দিয়াশলাই। ইতোমধ্যে আমাদের পাঁচটি গাড়ি স্পটে পৌঁছে গেছে।

ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, আদ-দীন হাসপাতলের পক্ষ থেকে ফাউন্ডেশনের ত্রাণ তহবিলে ১৬ হাজার বনরুটি দেওয়া হয়েছে। আকিজ বেকার্সের পক্ষ থেকে ৩৭৮০ পিস বনরুটি এবং ১ হাজার ৫০০ পিস পাউন্ড কেক দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আকিজ বেভারেজের পক্ষ থেকে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ত্রাণ তহবিলে ৭ হাজার ২০০ বোতল পানি (২২৫০ এমএল), ৭ হাজার ২০০ প্যাকেট গুড়াদুধ (৫০ গ্রাম), ৫ হাজার ৫৬০ প্যাকেট মুড়ি (৫০০ গ্রাম) প্রদান করা হয়েছে। এগুলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানটি জানায়, দ্বিতীয় ধাপে ৪০ হাজার পরিবাররকে ১০ কেজি চাল, ২ লিটার তেল, ২ কেজি ডাল, ১ কেজি লবণ দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ।

পোস্টে আরও বলা হয়, বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ৪ হাজার পরিবারকে পুনর্বাসনকল্পে টিন ও নগদ টাকা দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ। মহান আল্লাহ আমাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই জাতীয় দুর্যোগ থেকে আত্মরক্ষার তাওফিক দিন।

প্রসঙ্গত, আহমাদুল্লাহ আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনটি ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠা করলেও ২০১৮ সালে সৌদি আরবের পশ্চিম দাম্মাম ইসলামি দাওয়াহ কেন্দ্র থেকে অব্যাহতি নিয়ে দেশে ফিরে এসে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম পুরোদমে শুরু করেন। ২০১৮ সালের শেষের দিকে ফেসবুকে পেজ খুলে কার্যক্রমের প্রচার করতে থাকেন তিনি।

আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশি অরাজনৈতিক ও অলাভজনক একটি ধর্মীয় সংস্থা। এটি শিক্ষা, ইসলামি দাওয়াহ ও মানবকল্যাণসহ নানা বিষয় নিয়ে কাজ করে। ২০১৭ সালে শায়খ আহমাদুল্লাহ এটি প্রতিষ্ঠা করেন এবং তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে শুরু থেকে পরিচালনা করছেন। এই সংস্থার অধীনে আস-সুন্নাহ স্কিল ডেভলপমেন্ট ইনস্টিটিউট ও মাদরাসাতুস-সুন্নাহ নামক মাদ্রাসা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। সংস্থাটি শিক্ষা, সেবা ও দাওয়াহ মূলনীতি নিয়ে কাজ করে। সংস্থাটি বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ, শীতার্তদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ, ক্ষুধার্তদের মধ্যে অন্ন বিতরণসহ নানা সেবামুখী কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

বিআরইউ