যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধের আইন বহাল রেখেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) এ বিষয়ে একটি রায় দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে এ খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
মার্কিন আইনপ্রণেতারা গত বছরের এপ্রিলে এ নিয়ে একটি আইন পাস করেন। এতে টিকটককে শর্ত দেওয়া হয়েছিল, চীনের পেরেন্ট কোম্পানির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। বিষয়টিকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে অভিহিত করে তারা সিদ্ধান্ত নেন ২০২৫ সালের ১৯ জানুয়ারি থেকে নিষিদ্ধ হবে অ্যাপটি। তবে যদি তারা পেরেন্ট কোম্পানির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে তাহলে যুক্তরাষ্ট্রে কার্যক্রম চালানোর সুযোগ পাবে।
তবে আইনটি স্থগিত রাখার অনুরোধ জানান নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি যুক্তি দেন, আগামী ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউজের দায়িত্ব গ্রহণের পর এ বিষয়ে একটা ‘রাজনৈতিক সমাধানে’ পৌঁছাতে তাকে সময় দেয়া উচিত।
তবে সুপ্রিম কোর্ট ট্রাম্পের অনুরোধ রাখেননি। সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতিরা রায় দিয়েছেন যে, গত বছর কংগ্রেসে পাস হওয়া এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বাক্ষরিত আইনটি সংবিধান লঙ্ঘন করেনি।
জাতীয় নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে আদালত জানায়, চীন দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ ও গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। টিকটক ও বাইটড্যান্সের চ্যালেঞ্জের মুখে ডিসেম্বরে নিম্ন আদালতের রায়ও আইনটির পক্ষে ছিল।
এদিকে টিকটক বলেছে, যদি বিক্রির শেষ সময়সীমা বাড়ানো না হয় অ্যাপটি রোববার থেকে বন্ধ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে গুগল, অ্যাপলসহ টিকটকের সেবা প্রদানকারী কোম্পানিগুলোর ভূমিকা অনিশ্চিত।
উল্লেখ্য, বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাপসগুলোর মধ্যে অন্যতম টিকটক। চীনা কোম্পানির তৈরি এই অ্যাপস পশ্চিমা দেশগুলোতেও সমান জনপ্রিয়।
বিআরইউ