বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থার-আইডিআরএ আইনি বাধ্যবাধকতাকে কারণ দেখিয়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে যাচ্ছে বীমা খাতের ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি। কিন্তু খোদ নিয়ন্ত্রক সংস্থারই অন্যান্য বিধি মানছে না প্রতিষ্ঠানটি। বিষয়টি এমন যেন বিচার মানি তালগাছ আমার। ফলে প্রতিষ্ঠানটি পুঁজিবাজারে আসলে বিনিয়োগকারীদের গলার কাঁটা হবে বলেই মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, আগামী ২০ থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত আইপিওর চাঁদা সংগ্রহ করবে ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স। এর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হচ্ছে যাচ্ছে কোম্পানিটি। তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থের চেয়ে বীমা আইনের নির্দেশনাই প্রধান কারণ হিসেবে জানিয়েছে প্রকাশিত প্রসপেক্টাসে। কারণ বীমাকারীর মূলধন ও শেয়ার ধারণ বিধিমালা অনুসারে বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের তিন বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে হয়।
তবে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, ঠাকুর ঘরে কেরে? আমি কলা খাইনি— এই প্রবাদের মতো প্রতিষ্ঠানটির আসল উদ্দেশ্য নিজেরাই প্রকাশ করেছে। ইসলামী কমার্শিয়ালের প্রকাশিত প্রসপেক্টাস অনুসারে, আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংক এফডিআর, ট্রেজারি বন্ড, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ এবং আইপিও ব্যয় বাবদ খরচ করবে। কিন্তু বিনিয়োগকারীরা বলছেন, অর্থ লুটতেই মূলত বাজারে আসছে কোম্পানিটি। তা ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির সাম্প্রতিক বছরগুলোর কার্যক্রমও বিনিয়োগকারীদের এই মন্তব্যের পক্ষে সায় দেয়। বীমাকারীর মূলধন ও শেয়ারধারণ বিধিমালা অনুসারে একই পরিবার থেকে দুইয়ের অধিক পরিচালক থাকতে পারবে না বলে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। এ ছাড়া কোনো পরিচালক একক বা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে যৌথভাবে ১০ শতাংশের বেশি শেয়ার ধারণ করতে পারবে না।
অথচ প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদে একই পরিবারের ছযজন পরিচালক রয়েছেন। এই ছয়জন হলেন— পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক, তার স্ত্রী ও কোম্পানির চেয়ারম্যান সাহিদা আনোয়ার, আবু বকর সিদ্দিকের বোন নিগার সুলতানা, আবু বকর সিদ্দিকে দুই মেয়ে নুশরাত জাহান ও ইশরাত জাহান এবং এক ছেলে আশিক হোসেন। তাদের সম্মিলিত শেয়ার ধারণের হার ২৪.৪৯ শতাংশ। বীমা আইনের নন-লাইফ বীমাকারীরর সম্পদ বিনিয়োগ ও সংরক্ষণ বিধিমালা অনুসারে সম্পদের সাড়ে ৭ শতাংশ সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ থাকতে হয়। সে হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির মোট সম্পদ ১০৮ কোটি ৭০ লাখ ১০ হাজার ৭৫৫ টাকার বিপরীতে সাত কোটি ৮৫ লাখ ১৮ হাজার টাকা সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি মাত্র আড়াই কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। তবে প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকের আমানত থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে যতটুকু বিনিয়োগ করেছে, সেখানেও চরম উদাসিনতা লক্ষ করা গেছে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, অ্যাপোলো ইস্পাত লিমিটেডের ৩৬ লাখ ৯৪ হাজার ৯০০ শেয়ার ধারণ করছে ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স। ক্রয়কালে গড়ে ১০.৪৮ টাকা শেয়ার দর হিসেবে বিনিয়োগ করেছে তিন কোটি ৮৭ লাখ ২২ হাজার ৫৫২ টাকা। বর্তমানে ওই প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর গড়ে ৮.৪০ টাকা হিসেবে বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে তিন কোটি ১০ লাখ ৩৭ হাজার ১৬০ টাকায়। অর্থাৎ আনরিয়েলাইজড লস হয়েছে ৭৬ লাখ ৮৫ হাজার ৩৯২ টাকা। এ ছাড়া ইন্ট্রাকো লিমিটেডের ছয় লাখ ৩১ হাজার শেয়ার গড়ে ২৩.৬৫ টাকা দরে ক্রয় করেছে। তৎকালীন সময়ে যার বাজারমূল্য ছিল এক কোটি ৪৯ লাখ ২৩ হাজার ১৫০ টাকা। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার গড়ে ১৯.৪০ টাকায় নেমে আসায় আনরিয়েলাইজড লস হয়েছে ২৬ লাখ ৮১ হাজার ৭৫০ টাকা।
আবার জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনস লিমিটেডের মোট ১৯ লাখ আট হাজার শেয়ার ধারণ করেছে। বিনিয়োগকালে যার মূল্য ছিল গড়ে ৮.৪১ টাকা। সে হিসাবে এই কোম্পানির শেয়ারে ব্যয় করেছে এক কোটি ৬০ লাখ ৪৬ হাজার ২৮০ টাকা। কিন্তু বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের বাজার মূল্য গড়ে ৫.৮০ টাকা হারে এক কোটি ১০ লাখ ৬৬ হাজার ৪০০ টাকায় নেমে এসেছে। অর্থাৎ আনরিয়েলাইজ লস হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ টাকা। তা ছাড়া এটি জেড ক্যাটাগরির কোম্পানির হওয়ায় এখানে বিনিয়োগ না করতে আইডিআরএর নির্দেশনা রয়েছে। এভাবেই বিনিয়োগ করে সেখানে থেকে রিটার্ন না পাওয়া ব্যবস্থাপনা পর্ষদের অদূরদর্শিতাই প্রতীয়মান হয়। উপরন্তু জেড ক্যাটাগরি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা লঙ্ঘন করেছে।
এদিকে ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের ক্ষেত্রে বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থার কঠোর পদক্ষেপ সত্ত্বেও ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় দেখিয়ে গ্রাহকের আমানত ঝুঁকির মুখে ফেলছে। প্রকাশিত প্রসপেক্টাসের দেখা যায়, ২০১৯, ২০২০ এবং ২০২১ সালে ব্যবস্থাপনা ব্যয় নির্ধারিত সীমার চেয়ে যথাক্রমে ২.৪৮ কোটি, ৯৬ লাখ এবং ৪.৬৬ কোটি টাকা বেশি খরচ করেছে। অর্থাৎ তিন বছরে আট কোটি টাকারও বেশি অতিরিক্ত ব্যয় করেছে। এই অতিরিক্ত ব্যয়ের জন্য ৩৭.৫ শতাংশ হারে কর ধার্যের বিধান রয়েছে। এসবের বাইরে আইডিআরএর নির্দেশনা অনুসারে প্রতিষ্ঠানটিকে প্রতি বছরের নির্ধারিত ব্যয়সীমা থেকে কমিয়ে অতিরিক্ত ব্যয় পুনর্ভরণ করতে হবে, যা বর্তমান সময়ের আলোকে অসম্ভব বলেই মনে করছে বীমা সংশ্লিষ্টরা।
প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, ৩০ ডিসেম্বর ২০২১ (সমাপ্ত বছর) পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির গ্রোস প্রিমিয়াম হয়েছে ৫২ কোটি ১৫ লাখ ৬১ হাজার ১৫৩ টাকা। কিন্তু ক্যাশ ফ্লো স্টেটমেন্টের কালেকশন ফ্রম প্রিমিয়াম অ্যান্ড আদার ইনকামে দেখা যায়, প্রিমিয়াম ও অন্যান্য আয় বাবদ সংগ্রহ করেছে ৩৮ কোটি ৭০ লাখ ২১ হাজার ৯৮ টাকা। শুধু নিট প্রিমিয়াম এসেছে ৩৩ কোটি ৫১ লাখ ২০ হাজার ৬৭৫ টাকা। অর্থাৎ গ্রোস প্রিমিয়ামের থেকে কম আদায় হয়েছে ১৮ কোটি ৬৪ লাখ ৪০ হাজার ৪৭৮ টাকা। অর্থাৎ প্রায় ১৯ কোটি টাকা আদায় না করেও ব্যবসা দেখিয়েছে, যা বাকি ব্যবসার ইঙ্গিত। বীমা আইনে বাকিতে ব্যবসা নিষিদ্ধ।
এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি আর্থিক প্রতিবেদনেও কারসাজির আশ্রয় নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিনিয়োগকারীরা। তারা বলেন, প্রতিষ্ঠানটির নিট প্রিমিয়াম ইনকাম থেকে ৪ শতাংশ হারে ১৫ কোটি ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৭৫৪ টাকা এক্সেপশনাল লস খাতে সঞ্চিতি রেখেছে। এছাড়া সম্মিলিতভাবে আনএক্সপায়ার্ড রিস্ক তহবিলে সঞ্চিতি রেখেছে ১৪ কোটি ৮৭ লাখ ৪৮ হাজার ৩৯ টাকা। কিন্তু আইন অনুসারে নৌ (হাল) বীমার এক্সেপশনাল লস ফান্ডে সঞ্চিতি রাখেনি। নিয়মানুযায়ি নৌ (হাল) বীমার ক্ষেত্রে শতভাগ সঞ্চিতি রাখতে হয়। সে হিসেবে এই বীমার প্রিমিয়াম এক কোটি ৩৬ লাখ ৩৭ হাজার ১৫১ টাকার বিপরীতে পুরোটাই সঞ্চিতি রাখার নির্দেশ ছিল। কিন্তু তারা মাত্র ৭৪ লাখ ২৬ হাজার ৯৮৮ টাকা সঞ্চিতি রেখেছে।
উল্লিখিত দুই তহবিলে রিজার্ভ বাবদ ৩০ কোটি আট লাখ টাকা রয়েছে। অর্থাৎ নিট প্রিমিয়াম থেকে ওই দুই রিজার্ভের টাকা বাদ দিলে তিন কোটি ৪৩ লাখ ২২ হাজার ৮৮২ টাকা অবশিষ্ট থাকে। কিন্তু আর্থিক প্রতিবেদনের স্টেটমেন্ট অব ফিন্যান্সিয়াল পজিশনের ইনভেস্টমেন্ট ফ্ল্যাকচুয়েশন ফান্ডে সঞ্চিতি দেখানো হয়েছে চার কোটি এক লাখ তিন হাজার ৯৭৮ টাকা। আবার একই পৃষ্ঠায় অ্যাসেট রিভ্যালুয়েশন বাবদ সঞ্চিতি দেখানো হয়েছে ১০ কোটি ৫৬ লাখ চার হাজার ৭৬৮ টাকা। অর্থাৎ নিট প্রিমিয়ামের চেয়ে ১১ কোটি ১৩ লাখ ৮৫ হাজার ৮৬৪ টাকা বেশি সঞ্চিতি রেখেছে। এই অতিরিক্ত অর্থ কোথা থেকে এলো তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেননা, অন্যান্য আয় হয়েছে থেকে যদি রিজার্ভের এই অর্থ নেয়া হয় তবে সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি ১৯ লাখ ৪২৩ টাকা পর্যন্ত যোগান দেয়া সম্ভব হতো। এরপরও রিজার্ভে পাঁচ কোটি ৯৪ লাখ ৮৫ হাজার ৪৪১ টাকার ঘাটতি থাকত। কিন্তু আর্থিক প্রতিবেদনে কোনো রিজার্ভে ঘাটতি নেই। অর্থাৎ সবগুলো রিজার্ভই তারা রেখেছে। তা হলে এই বাড়তি অর্থ এসেছে কোথা থেকে, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিনিয়োগকারীরা। এ ক্ষেত্রে তাদের মতে, প্রতিষ্ঠানটি আর্থিক প্রতিবেদনে কারসাজির আশ্রয় নিয়েছে।
তালিকাভুক্তির আগেই প্রতিষ্ঠানটির অনিয়মে জড়িত থাকা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন বাংলাদেশ ইনভেস্টর ফোরামের প্রেসিডেন্ট মো. জাকির হোসেন। তিনি দৈনিক আমার সংবাদকে বলেন, ‘বীমা আইন লঙ্ঘন করে ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স অনিয়মের পাহাড় তৈরি করেছে। প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক প্রতিবেদন ভালোভাবে পরীক্ষা ও রি-অডিটের মাধ্যমে আইপিওর অনুমোদন দেবে, এমনটাই বিএসইসির কাছে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা।’
এর আগেও বীমা খাতের বিভিন্ন অনিয়মের হোতা এই প্রতিষ্ঠানটি। এমনকি খোদ নিয়ন্ত্রক সংস্থার চিঠি জাল করারও অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মীর নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে। তা ছাড়া পরিচয় গোপন করে নিজের ছেলেকে মোটা অংকের বেতনে ওই প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়া, অবলিখন কর্মকর্তাকে এজেন্ট হিসেবে দেখানো, অতিরিক্ত জনবল দেখিয়ে বেতন-ভাতা বাবদ অর্থ লোপাট, নিয়ন্ত্রক সংস্থার দেয়া তথ্যে গরমিলসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতে এই সিইও সম্পৃক্ততা পেয়েছিলেন আইডিআরএর সার্ভিল্যান্স টিম। এরপরও বহাল তবিয়তে পদে রয়ে গেছেন তিনি। ফলে বীমা খাতের পাশাপাশি এবার পুঁজিবাজারে চলবে ‘মীর নাজিমের কারসাজি’, এমনটি মনে করছেন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা।
প্রতিষ্ঠানটির নিয়ন্ত্রক সংস্থার এসব আইন লঙ্ঘন ও আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মীর নাজিম উদ্দিনের কাছে। তাকে মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা পাঠালে তিনি কোনো প্রত্যুত্তর করেননি। পরবর্তীতে কোম্পানি সচিবের কাছে জানতে চাইলে তিনি একদিন পর জবাব দেবেন বলে জানালেও পরবর্তীতে আর ফোন ধরেননি।
এদিকে প্রতিষ্ঠানটির বিধিবদ্ধ নিরীক্ষা ফার্ম ইসলাম আফতাব কামরুল অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টের পার্টনার ও নিরীক্ষক এ কে এম কামরুল ইসলামের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি না দেখে কিছু বলতে পারবেন না বলে জানান। এ ছাড়া এটি সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশনের দেখার দায়িত্ব বলে ফোন কল কেটে দেন।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে প্রতিষ্ঠানগুলোর এমন অনিয়মের বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর অচেতনার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবু আহমেদ। তিনি দৈনিক আমার সংবাদকে বলেন, ‘এসব ঘটনা বরাবরই হয়ে আসছে। অনিয়ম নিয়ে সংবাদ করেও কোনো প্রতিকার হয় না। খুলনা প্রিন্টিং, অ্যাপোলো ইস্পাত এসব কোম্পানি আইপিওতে এসে বিনিয়োগকারীদের পথে বসিয়েছে। বারবার এগুলো ঘটছে, প্রতিকার হচ্ছে না। এগুলো নিয়ে বলতে বলতে ক্লান্ত। নতুন করে কিছু বলার নেই।
ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্সের বিরুদ্ধে বিনিয়োগকারীদের এসব অভিযোগের বিষয়ে বিএসইসির মুখপাত্র মো. রেজাউল করিম দৈনিক আমার সংবাদকে বলেন, বর্তমানে আমরা বীমা কোম্পানিগুলো তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনাপত্তি সনদ (এনওসি) চেয়ে থাকি। এখন প্রতিষ্ঠানটি যদি বীমা আইন লঙ্ঘন করে তবে আইডিআরএ কেন এনওসি দিলো, সেটি তারাই ভালো বলতে পারবে। তবে যেহেতু অভিযোগ উঠেছে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’ আইন ভাঙার পরও কিভাবে এনওসি পেলো প্রতিষ্ঠানটি সে বিষয়ে আইডিআরএর কাছে জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু অভিযোগ শোনার পর ব্যস্ততার কথা বলে ফোনটি কেটে দেন নিয়ন্ত্রক সংস্থার মুখপাত্র।