দেশের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষরা সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। রাজধানীসহ সারাদেশের বেশিরভাগ সরকারি হাসপাতালেই রয়েছে বেড সংকট। এ কারণে হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় থেকেই চিকিৎসা নিতে বাধ্য হন রোগীরা। তবে মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নেওয়াটা যেমন রোগীর জন্য স্বাস্থ্যসম্মত নয়, তেমনই এটা দৃষ্টিকটু ও অশোভন।
রোববার সকালে (১৫ জানুয়ারী) রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সরেজমিন দেখা যায়, ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে (ক্যাজুয়েলটি) ৬টি বেড ফাঁকা। অথচ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের বাসিন্দা হাফিজ মিয়া (৬৮) বাঁ পায়ে কিছুটা চওড়া ব্যান্ডেজ নিয়ে শুয়ে আছেন ঢামেকের মেঝেতে।
তিনি আমার সংবাদকে বলেন, সিট ফাঁকা থাকলেও মেঝেতেই পড়ে আছি, আমি নাকি ওনাদের রোগী না।
অপর এক রোগী মো. হৃদয় (২৩) বলেন, টঙ্গীর চেরাগআলী এলাকায় ছিনতাইকারীর অস্ত্রের আঘাতে পাকস্থলির বড়ছিদ্র হলে হাসপাতাল জরুরি বিভাগে ১১ দিন আগে ভর্তি হই,পরে অপারেশন করে এই ওয়ার্ডে রাখা হয়। এখানকার স্টাফদের ডাকলে সহজে পাওয়া যায় না।
ফাঁকা বেডে রোগী নেই এমন প্রশ্নে আমার সংবাদকে ক্যাজুয়েলটি ওয়ার্ডের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তৌসিফ বলেন, মেঝের কোন রোগী এই ওয়ার্ডের নয়, ওনারা অর্থোপেডিক বিভাগের রোগী। খালি বেডগুলো ক্যাজুয়েলটি ওয়ার্ডের রোগীর জন্য ।
মেঝেতে রোগী থাকার বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক আমার সংবাদকে বলেন, এই হাসপাতালে দুই হাজার ৬০০টি বেড রয়েছে। কিন্তু রোগী ভর্তি আছেন প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি। বেশি রোগী হওয়ার কারনেই মেঝেতে চিকিৎসা নেন তারা।
তিনি বলেন, রোগী ভোগান্তির অভিযোগ পেলে সমাধান করা হবে।
এসবি/ এবি