বাবর আজমের দরকার ছিল মাত্র ২১ রান। সেই রানটুকু করে পাকিস্তানের ১১তম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১০ হাজার আন্তর্জাতিক রানের মালিক হলেন তিনি। একই সঙ্গে শ্রীলঙ্কার স্পিনারদের তোপের মুখে পড়া পাকিস্তানকে একাই টেনে নিলেন অধিনায়ক।
ওয়ানডেতে ৪৪৪২ ও টি-টোয়েন্টিতে ২৬৮৬ রান করা বাবর টেস্টে ২৮৫১ রান নিয়ে গলে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হন। দারুণ ফর্মে থাকা পাকিস্তানের অধিনায়ক করেন ২২তম হাফ সেঞ্চুরি। শ্রীলঙ্কার স্পিনারদের সামনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ান বাবর।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ১০ হাজার রান করতে বাবর পাকিস্তানের অন্যদের চেয়ে সবচেয়ে কম ২২৮ ইনিংস খেলেছেন।
রোববার চলছে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ১০ হাজারি ক্লাবে নাম লেখান সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটার বাবর। বাঁহাতি লঙ্কান স্পিনার প্রভাত জয়সুরিয়াকে কাট করে পয়েন্ট দিয়ে চার মেরে মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন তিনি।
পাকিস্তান ব্যাটারদের মধ্যে দ্রুততম ১০ হাজার আন্তর্জাতিক রানের মালিক বাবর আজম। মাত্র ২২৮ ইনিংসে এই নজির গড়লেন পাক অধিনায়ক। ২৪৮ ইনিংসে ১০ হাজার রান পূরণ করেছিলেন মিয়াঁদাদ। কিন্তু তার থেকে ২০টি ইনিংস কম খেলেই সেই মাইলস্টোন ছুঁয়ে ফেললেন বাবর।
তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন আরেক প্রাক্তন পাক ওপেনার সৈয়দ আনোয়র। তিনি ২৫৫ ইনিংসে ১০ হাজার রান পূরণ করেছিলেন। মহম্মদ ইউসুফ ২৬১ ইনিংস খেলে চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছেন ইনজামাম উল হক (২৮১)।
পাকিস্তান ক্রিকেট টুইটারে বাবরকে অভিনন্দন জানিয়ে লিখেছে, ‘বাবর শীর্ষে। সব ফরম্যাটেই অবিশ্বাস্য ধারাবাহিকতা।’ জাভেদ মিয়াঁদাদ, সাঈদ আনোয়ার, মোহাম্মদ ইউসুফ, ইনজামাম উল হক, ইউনুস খান, মিসবাহ উল হক, সেলিম মালিক, মোহাম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিক ও শহীদ আফ্রিদির পর তিনি এই মাইলফলকে নাম লিখলেন।
বাবরের অর্জনের দিনে অবশ্য ব্যাটিং ব্যর্থতায় ধুঁকছে পকিস্তান। প্রথম ইনিংসে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার ২২২ রানের জবাবে মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত তাদের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১০৪ রান।
এক প্রান্ত আগলে বাবর খেলছেন ৭২ বলে ৩৪ রানে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে ১২ উইকেট নিয়ে রেকর্ড গড়া জয়সুরিয়া ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্টেও দেখাচ্ছেন জাদু। তার ঝুলিতে গেছে ৫ উইকেট।
তর্ক সাপেক্ষে সময়ের সেরা ব্যাটার হিসেবে উচ্চারিত হয়ে থাকে ২৭ বছর বয়সী বাবরের নাম। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রানের বন্যা বইয়ে দিয়ে দুরন্ত গতিতে এগিয়ে চলেছেন তিনি।
আইসিসি র্যাঙ্কিংয়েও মিলছে তার অসাধারণ সব পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি। বর্তমানে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা বাবর টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে আছেন চারে।
ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে তিন সংস্করণের ক্রিকেটের আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে ওঠার হাতছানি রয়েছে বাবরের সামনে। এমনটা ঘটলে নিশ্চিতভাবে খেলাটির রেকর্ড বইতে চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে তার নাম। গত মাসে এক সাক্ষাৎকারে বাবর নিজেও জানিয়েছেন এই কীর্তি গড়ার প্রত্যাশার কথা।
আমারসংবাদ/টিএইচ