কমনওয়েলথ গেমস

করোনা আক্রান্ত হলেও খেলা যাবে

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২২, ০৪:৩৪ পিএম

করোনার কারণে গত দুই বছর বিপর্যস্ত হয়েছে বিশ্বের সকল ক্রীড়াযজ্ঞ। একের পর এক বাতিল করতে হয়েছে বড় বড় আসর। টুর্নামেন্ট চলাকালীন কোনো খেলোয়াড় করোনা আক্রান্ত হলে তাকে থাকতে হয়েছে আইসোলেশনে।

তবে সারাবিশ্ব্বে করোনার প্রকোপ কমায় এই নিয়ম শিথিল করেছে কমনওয়েলথ গেমস কতৃপক্ষ। করোনা আক্রান্ত হলেও লক্ষণ দেখা না গেলে খেলোয়াড়রা ইভেন্টে খেলতে পারবেন।

বার্মিংহামে গত রাতে পর্দা উঠেছে কমনওয়েলথ গেমসের। তবে এর আগেই অবশ্য দুঃসংবাদ পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বর্শা নিক্ষেপের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন কেলসে-লি বারবের করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন।

তবে দলটির জন্য দুঃসংবাদটা আর বড় হয়নি কমনওয়েলথ গেমস কর্তৃপক্ষের কল্যাণে। করোনা আক্রান্ত হলেও কোনো লক্ষণ দেখা না যাওয়ায় তিনি খেলতে পারবেন নিজের ইভেন্টে। আইনটা শুধু তার জন্যই নয়, কমনওয়েলথের সব প্রতিযোগীর জন্যই সমানভাবে প্রযোজ্য।

করোনার বিশ্বব্যাপী প্রকোপ কমে যাওয়াতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমনওয়েলথ কর্তৃপক্ষ। নারীদের বর্শা নিক্ষেপের ফাইনাল অবশ্য অনেক দূরে। আগামী ৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে এই ইভেন্ট। এর আগে সেরে উঠলে তিনি নিজের ইভেন্টে অংশ নিতে পারবেন।

এদিকে অস্ট্রেলিয়া দলের হাই-পারফরম্যান্স ব্যবস্থাপক অ্যান্ড্রু ফেইচনের ভাষ্যমতে, আয়োজকরা নির্দেশনা দিয়েছেন, কোনো খেলোয়াড় আক্রান্ত হলেও যদি শারীরিকভাবে ভালো বোধ করেন, তাহলে তিনি খেলায় অংশ নিতে পারবেন।

করোনায় আক্রান্ত হলে আইসোলেশনের জন্য আগের মতো কড়াকড়ি অবস্থান থেকে সরে এসেছে ইংল্যান্ড। কমনওয়েল গেমসের ক্রিকেট ইভেন্টেও নিয়ম শিথিল করা হয়েছে।

গত এপ্রিলে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত মেয়েদের বিশ্বকাপে করোনায় আক্রান্ত হন অস্ট্রেলিয়া দলের অলরাউন্ডার অ্যাশলে গার্ডনার। ১০ দিন আইসোলেশনে থাকায় দুটি ম্যাচে তিনি খেলতে পারেননি। কিন্তু কমনওয়েলথ গেমসে পরিস্থিতি ভিন্ন।

তবে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ডট কম ডট এইউ জানাচ্ছে, প্রত্যেক খেলোয়াড়ই থাকবেন নজরদারিতে। নিয়মিত পরীক্ষা তো আছেই, দেখা হবে কতোটা অসুস্থ হয়েছেন সেটাও।

করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর অ্যাথলেট শারীরিকভাবে কতোটা সুস্থ, তিনি খেলতে পারবেন কি না, আক্রান্ত সেই খেলোয়াড় করোনা ছড়িয়ে দিতে পারেন কি না, এসব বিষয় ব্যাটেবলে হলে তবেই খেলতে পারবেন সেই আক্রান্ত খেলোয়াড়।

বিশ্বজুড়ে করোনার প্রকোপ কিছুটা কমতির দিকে। সে কারণেই মূলত ইংল্যান্ড তাদের করোনা নীতিমালায় কিছুটা শৈথিল্য এনেছে। তাতেই এই সুযোগ পাচ্ছেন খেলোয়াড়রা।

তবে তাই বলে সাধারণ সাবধানতার বিষয়ে উদাসীন হয়ে গেলে চলবে না খেলোয়াড়দের। ভিলেজের বাইরে মাস্ক পরতে হবে, এমনকি অনুশীলনের সময়ও মাস্ক খোলা চলবে না।

বাইরে গিয়ে খাবার কিনে খেতে পারবেন। তবে সতীর্থ অ্যাথলেটের ইভেন্টে উপস্থিত থেকে তাকে সমর্থন দেওয়া চলবে না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কেননা লোক সমাগমস্থলে গিয়ে খেলোয়াড়দের করোনা বাধিয়ে দেওয়ার সুযোগ যে থেকে যায়!


আমারসংবাদ/টিএইচ