এশিয়া কাপে ফাইনালের প্রস্তুতি ম্যাচে পরিণত হওয়া সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নির্ধারিত ১৯.১ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১২১ রান স্কোরবোর্ডে তুলতে পেরেছে পাকিস্তান।
শ্রীলঙ্কার বোলারদের সামনে হাড়গোড় বেরিয়ে পড়ল পাক ব্যাটিং লাইনআপের। পেস, স্পিন কোনোটার সামনেই সুবিধা করতে পারলেন না বাবর আজমরা।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা মন্দ হয়নি পাকিস্তানের। চতুর্থ ওভারেই মোহাম্মদ রিজওয়ান ফিরে গেলেও অধিনায়ক বাবর আজম এবং ফখর জামানের দৃঢ়তায় সেই ধাক্কা সামাল দেন তারা। টি-টোয়েন্টির এক নম্বর ব্যাটসম্যান রিজওয়ানকে ক্যারিয়ারের প্রথম ওভারেই ধরাশায়ী করেন অভিষিক্ত লঙ্কান পেসার প্রমোদ মাদুশান। তার আউটসুইংয়ে পরাস্ত হয়ে ব্যক্তিগত ১৪ রানে ফেরেন রিজওয়ান।
দ্বিতীয় উইকেটে বাবর-ফখর ওয়ানডে ধাঁচে ৩৫ বলে ৩৫ রানের জুটি গড়েন। তবে দশম ওভারে চামিকা করুনারত্নের বলে ফখর ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ ধরলে ঘটে ছন্দপতন। পরের ওভারেই এশিয়া কাপে রানখরায় ভুগতে থাকা বাবর ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে বোল্ড হয়ে যান। ফেরার আগে এবারের এশিয়া কাপে তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৯ বলে ৩০ রান করেন।
পাকিস্তান ইনিংসের বাকি সময়টায় শুধুই আসা-যাওয়ার মিছিল চলে। লঙ্কান বোলারদের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। ৬৩ রানে ১ উইকেট থেকে কয়েক ওভারের ব্যবধানে ৯৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বসে তারা।
শেষদিকে ভারত ম্যাচে জয়ের নায়ক মোহাম্মদ নওয়াজের ১ চার, ২ ছয়ে ১৮ বলে ২৬ রানের ক্যামিও ইনিংসে একশ’ পার করে পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কার পক্ষে চার ওভার বোলিং করে মাত্র ২১ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন হাসারাঙ্গা। ৪ ওভার বোলিং করে হাসারাঙ্গার সমান ২১ রান দিয়ে ২ উইকেট পেয়েছেন আরেক স্পিনার মহেশ থিকশানা।
এবি