বিশ্বকাপজয়ী দলের আগমন উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার ছুটি ঘোষণা করেছে আর্জেন্টিনা সরকার।
পুরো দেশ যেন লিওনেল মেসিদের আনন্দে সামিল হতে পারে, সেকারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া।
মেসি-মার্তিনেসদের স্বাগত জানাতে আর্জেন্টিনা সময় অনুযায়ী, মধ্যরাতেও বুয়েনস আইরেসে জড়ো আছেন মানুষ। তবে দুপুরের আগে তাদের অপেক্ষার অবসান ঘটছে না। কেননা বিমানবন্দরে অবতরণের পর দীর্ঘ ভ্রমণ ক্লান্তি দূর করতে রাতের বাকি সময়টা আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের ট্রেনিং সেন্টারে কাটাবেন মেসিরা। যা কি-না এজেইজা বিমানবন্দরের পাশেই অবস্থিত।
দুপুর হলেই সেখান থেকে ছাদখোলা বাসে করে চ্যাম্পিয়ন প্যারেড করবে লিওনেল স্কালোনির দল। মেসির হাতে সেই কাঙ্খিত সোনালী ট্রফিটি দেখার জন্য বাসের চারপাশে প্রচুর ভীড় হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। প্রায় ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা চলবে এই প্যারেড। উদযাপনের কেন্দ্রস্থল হিসেবে ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ব ওবেলিস্ককে ঠিক করা হয়েছে।
৩৬ বছরের অপেক্ষার পর তৃতীয়বারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর্জেন্টিনা। রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে ৩(৪)-৩(২) ব্যবধানে হারায় তারা। এরপর আর্জেন্টিনার প্রতিটি আনাচে-কানাচেতে বইতে থাকে উৎসবের আবহাওয়া। প্রায় প্রতিটি রাস্তা পরিণত হয় জনসমুদ্রে। উৎসবের মাত্রাটা নিশ্চয়ই কয়েকগুণ বেড়ে যাবে, যখন মেসি তার স্বপ্নের ট্রফি হাতে নিয়ে পা রাখবেন দেশটিতে ।
বিশ্বকাপ জেতার পরপরই আর্জেন্টিনা অধিনায়ক বলেছিলেন, ‘আর্জেন্টিনায় কতটা পাগলামি হচ্ছে তা দেখতে চাই আমি। আমি চাই তারা অপেক্ষা করুক আমার জন্য। তাদের সঙ্গে উদযাপন করার জন্য আর তর সইছে না আমার।’
এবি