বিপিএলে দুই দিনের বিরতি

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২৩, ০৫:০৬ পিএম

চলছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) নবম আসর। আজ ও আগামীকাল বিপিএলে বিরতি। ঘটনাবহুল চট্টগ্রাম পর্ব শেষেও সবার উপরে মাশরাফীর সিলেট ও সাকিবের বরিশাল। ব্যাট ও বল হাতে জাতীয় দলের সাবেক ও বর্তমান দুই অধিনায়কই আছেন ছন্দে। বন্দরনগরীতে খুলনার ভাগ্য খুললেও দুর্ভাগ্য সঙ্গী ঢাকা ও চট্টগ্রামের। এখন পর্যন্ত আসর সেরা সর্বোচ্চ স্কোরও হয়েছে চট্টগ্রামে। তবে পিছু ছাড়েনি আম্পায়ারিং বিতর্ক।

বদলেছে শহর, বদলেছে ভেন্যু, তবুও বদলায়নি বিপিএলের ভাগ্য। ঢাকার পর চট্টগ্রামেও সঙ্গী আম্পায়ারিং বিতর্ক। আছে দলগুলোর ঘুরে দাঁড়ানোর গল্পও।

বন্দরনগরীতে টানা তিন জয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিনে উঠে এসেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা। কিন্তু বরিশালের বিপক্ষে জাকির আলির আউট নিয়ে সমালোচনা করায় ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা গুনতে হয়েছে ভিক্টোরিয়ান্স কোচ মোহাম্মাদ সালাউদ্দিনকে।

সাগরিকায় একমাত্র পরাজয়ের স্বাদ পেলেও ঠিকই শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে মাশরাফির সিলেট। বল হাতে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নড়াইল এক্সপ্রেস। ৯ উইকেট নিয়ে উইকেট শিকারির তালিকার দু’নম্বরে ম্যাশ।

টানা পাঁচ জয়ে টেবিল টপার স্ট্রাইকার্সের সমান ১০ পয়েন্ট নিয়ে দু’নম্বরে সাকিবের বরিশাল। এই পর্ব শেষে ব্যাট হাতে সবাইকে ছাড়িয়ে ফরচুন অধিনায়ক। তিন হাফসেঞ্চুরিসহ ২৭৫ রান নিয়ে তালিকায় এক নম্বরে নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার।

২৫৬ রান নিয়ে তিন নম্বরে সাকিবের সতীর্থ পাকিস্তানি ব্যাটার ইফতেখার আহমেদ। করেছেন এক সেঞ্চুরি ও দুটি হাফসেঞ্চুরি। দু’জনে মিলে গড়েছেন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে পঞ্চম উইকেটে সর্বোচ্চ ১৯২ রানের পার্টনারশিপ। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে বরিশালের ২৩৮ রান। এখন পর্যন্ত আসর সেরা।

চট্টগ্রামেও যেন হারের বৃত্ত ভাঙতে পারেনি ঢাকা। টানা পাঁচ হারে টেবিলের তলানিতে ডমিনেটর্স। দলের ওয়ান ম্যান আর্মি ক্যাপ্টেন নাসির হোসেন। দুই ফিফটিসহ ছয় ম্যাচে ২৬৯ রান করে উসকে দিচ্ছেন জাতীয় দলে ফেরার গুঞ্জন।

তবে বাণিজ্যিক নগরীতে ভাগ্য খুলেছে খুলনার। এই পর্বে দুই জয় নিয়ে চার নম্বরে উঠে এসেছে টাইগার্স। ৫ ম্যাচে সর্বোচ্চ ১১ উইকেট নিয়েছেন দলটির পাক পেসার ওয়াহাব রিয়াজ।

খুলনার সমান চার পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচে রংপুর ও ছয় নম্বরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। চট্টগ্রাম পর্বে তিন ম্যাচে দুই হার রাইডার্সদের। অন্যদিকে সমান ম্যাচে তিন হার ও এক জয় চ্যালেঞ্জার্সের।

কেএস