বাফুফে সভাপতির মন্তব্যে ফুঁসছে সাংবাদিক সমাজ

সালাহউদ্দিনের পদত্যাগ দাবি বিএফইউজে’র

ক্রীড়া প্রতিবেদক প্রকাশিত: মে ৩, ২০২৩, ০৭:৩০ পিএম
  • বেফাঁস মন্তব্য করেছেন কাজী নাবিল আহমেদও
     

মঙ্গলবার বাফুফে কার্যালয়ে নির্বাহী কমিটির সভার পর আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের আগে সাংবাদিকদের বাপের জুতা পরা ছবি নিয়ে ফেডারেশনে আসতে হবে- এমন মন্তব্য করেছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন। যার জেরে সালাউদ্দিনের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন দেশের সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে। বুধবার সালাহউদ্দিনকে পদত্যাগের দাবি জানিয়ে এক বিবৃতি দিয়েছেন বিএফইউজে’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহীদ উল আলম ও মহাসচিব দীপ আজাদ। সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক সেবীকা রানী সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়েছে। অন্যথায় সারাদেশের ফুটবল সংগঠকদের তাকে অপসারণে উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানানো হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের ফুটবল সংস্থার শীর্ষ পদে থেকে এ ধরনের বক্তব্য কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। শুধু সাংবাদিক সমাজ নয়, তাদের পরিবারকে জড়িয়ে এই বক্তব্য দেয়ার পর বাফুফে সভাপতির মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে দেশবাসী সন্দিহান হয়ে পড়েছে। কাজী সালাহউদ্দিন দায়িত্ব পালনকালে দেশের এই খেলার মান প্রতিনিয়ত নি¤œগামী। র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থা প্রায় সবার নিচে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, অনিয়ম দূর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে বাফুফে। যার সা¤প্রতিক প্রমাণ ফিফার নিষেধাজ্ঞা। বিভিন্ন সময়ে এসব খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের ওপর ক্ষিপ্ত। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তার সর্বশেষ মন্তব্যে। দেশে ও দেশের বাইরে ফুটবলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার পর বাফুফে সভাপতি পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন বলে মনে করেন বিএফইউজে। স¤প্রতি বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে জালিয়াতির দায়ে ২ বছর নিষিদ্ধ ও প্রায় ১২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ফিফা। অনিয়মের অভিযোগে আরও ৩ জন পেয়েছেন কারণ দর্শানো নোটিশ। মাঠেও ফুটবলের অবস্থা অথৈবচ। বছরের পর বছর র‌্যাংকিংয়ের তলানিতে পড়ে আছে বাংলাদেশ। কাজী সালাউদ্দিনের চার মেয়াদে ফুটবলে নেই কোনো বলার মতো সাফল্য। এমনকি গ্রামে-গঞ্জের ফুটবলও গেছে থমকে। এমন অবস্থার মধ্যেই নড়ে বসল বিএফইউজে।

এদিকে মঙ্গলবার বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা শেষে মিডিয়া ব্রিফিং শুরুর আগে সভাপতি কাজী মো. সালাহউদ্দিনের সঙ্গে সাংবাদিকদের নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেছেন সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদও। কাজী মো. সালাউদ্দিন বলেছিলেন, সাংবাদিকদের বাফুফে ভবনে ঢুকতে হলে তাদের এবং তাদের বাপের জুতা পরা ছবি দিতে হবে। এ সময় কাজী মো. সালাহউদ্দিনকে উদ্দেশ্য করে সাংবাদিকদের অনেকটা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে কাজী নাবিল আহমেদকেও বলতে শোন যায়, ‘আমার রিকুয়েস্ট হচ্ছে অন্য। কে আন্ডারওয়্যার পরে বড় হয়েছে আর কে হয়নি সেটাও দেখতে হবে।’ তবে কাজী মো. সালাহউদ্দিন তার বেফাঁস মন্তব্যের জন্য অল্প সময়ের মধ্যেই সাংবাদিকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং ক্ষমাও চেয়েছেন। তবে কাজী নাবিল আহমেদ কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি।

আরএস