অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট

দ. আফ্রিকাকে হারিয়ে সমতায় বাংলাদেশ

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০২৩, ০৯:০৬ পিএম

বৃষ্টি আইনে ১০ রানে হেরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু করে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা এনেছে বাংলাদেশের যুবারা।

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সময়টা ভালো যাচ্ছে না। একদিন আগেই আফগানিস্তানের কাছে প্রথমবারের মতো সিরিজ হেরেছে টাইগাররা। এদিকে দীর্ঘ ১১ বছর পর মিরপুরে খেলতে নেমে ভারতের মেয়েদের কাছে হেরে গেছে নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। এমন বিষাদময় সময়ে দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটালেন টাইগার যুবারা। দক্ষিণ আফ্রিকার যুবাদের বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে ১৪ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।

রোববার (৯ জুলাই) খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে শিহাব জেমসের ৬৯ রানে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৬৮ রান করে বাংলাদেশের যুবারা। জবাবে লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৪৯ ওভারে ২৫৪ রানে গুটিয়ে যায় প্রোটিয়া যুবাদের ইনিংস। এই জয়ের মধ্য দিয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ১-১ এ সমতায় ফিরল স্বাগতিকরা।

এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেন বাংলাদেশেরর দুই ওপেনার আদিল বিন সিদ্দিক ও চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান। দলীয় ৬০ রানে রিজওয়ান বিদায় নিলে ভাঙ্গে উদ্বোধনী জুটি। ইনিংসে ৩৭ বলে ২৫ রান করেছেন এই ওপেনার। তিনে নেমে আশিকুর রহমান শিবলী বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটার।

চারে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন আরিফুল ইসলাম। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন ওপেনার আদিল বিন সিদ্দিক। কিন্তু ২৩.৫ ওভারে দলীয় ১১১ রানে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন আদিল। আউট হওয়ার আগে ৫৩ বলে ৪১ রান করেন তিনি। এরপর অধিনায়ক আহরার আমিন শূন্য রানেই সাজঘরে ফেরেন।

এরপর শিহাব জেমস নেমে দারুণ সঙ্গ দেন আরিফুলকে। এই দুই ব্যাটার দলের হাল ধরে সংগ্রহ এগিয়ে নেন। তবে মাত্র দুই রানের জন্য অর্ধশতকের দেখা পাননি আরিফুল। ৬০ বলের ইনিংসে ৪৮ রান করেন এই ব্যাটার। আরিফুল না পারলেও অর্ধশতকের দেখা পান শিহাব জেমস। শিহাবের ব্যাটে ভর করে দারুণভাবে এগিয়ে যায় টাইগাররা।

তবে ৪৭.১ ওভারে দলীয় ২৩৩ রানের মাথায় আউট হয়ে যান শিহাব। বিদায়ের আগে ৭১ বলে ৬৯ রান করেন তিনি। এছাড়া জাকারিয়া ইসলাম শান্ত ২৮ ও মাহফুজুর রহমান রাব্বি ২৭ রান করেছেন। ফলে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৬৮ রান করে বাংলাদেশের যুবারা।

বোলিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার কেওয়ানা মাফাকা ও সিফো পোটসান ২টি করে উইকেট তুলে নেন। এছাড়া লিয়াম এল্ডার, জুয়ান জেমস ও অলিভার হোয়াইটহেড একটি করে উইকেট সংগ্রহ করেন।

বাংলাদেশের দেওয়া ২৬৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ভালো শুরু করতে পারেনি সফরকারীরা। শুরুতেই লুয়ান-ড্রে গিলবার্ট প্রিটোরিয়াসকে ফিরিয়ে জোড়া আঘাত হানে বাংলাদেশের বোলাররা। তবে তিনে নেমে দারুণ ব্যাটিং করেছেন অধিনায়ক ডেভিট টিগার। তার অর্ধশতকে ভর করে ভালোই এগোচ্ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

কিন্তু দলীয় ১৫৭ রানের মাথায় রান আউটের শিকার হন টিগার। বিদায়ের আগে ৯৩ বলে ৭৫ রানের দারুণ ইনিংস উপহার দেন তিনি। এরপর দেওয়ান মারিয়াস ৩৮, অলিভার হোয়াইটহেড ৩৮, লিয়াম অ্যাল্ডার ১৮ ও রোমাশান সোমা পিলের ১৪ রানের পরও জয়ের দেখা পায়নি প্রোটিয়ারা। শেষ পর্যন্ত ৪৯ ওভারে ২৫৪ রানে অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা।

প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নিয়েছিল বাংলাদেশ যুবারা। তবে দফায় দফায় বৃষ্টির বাগড়ায় ডিএল মেথডে ২৯ ওভারে বাংলাদেশের জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬৩। এমন টার্গেট তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা যুবাদের কাছে ১০ রানে হেরে যায় স্বাগতিকরা। তবে এবার আর সেই ভুল করেনি টাইগাররা।

আগামী ১১ জুলাই একই ভেন্যুতে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে। আর শেষ দু’টি ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে রাজশাহীর এ. এইচ. এম. কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে, ১৪ ও ১৭ জুলাই। পাঁচ ম্যাচের এই সফর শেষ করে প্রোটিয়া যুবা দল বাংলাদেশ ছাড়বে ১৮ জুলাই।

আরএস