ইউরোপিয়ান ফুটবলের গ্রীষ্মকালীন দলবদল এখন পর্যন্ত খুব একটা আলোচনার জন্ম দেয়নি। কোনো দলকেই দেখা যায়নি অপ্রত্যাশিত কোনো খেলোয়াড় দলে ভেড়াতে। তবে, এই শান্ত পরিবেশেই যেন উত্তাপ ছড়াচ্ছেন ফ্রেঞ্চ তারকা কিলিয়ান এমবাপে। পৈত্রিক ভূমি ক্যামেরুনে ছুটি কাটালেও তাকে নিয়ে ইউরোপে কম আলোচনা হচ্ছেনা।
দিনকয়েক আগেই খবর এসেছিলো, স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেয়ার কাছাকাছি পর্যায়ে আছেন এমবাপে। তার নিজের কথাতেও পাওয়া যাচ্ছিলো সেই আভাস। নিজ ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনের বিপক্ষে একের পর এক নেতিবাচক মন্তব্যও করেছিলেন এই তারকা।
পিএসজি থেকে মেসির চলে যাবার পরেই নিজের দলবদল নিয়ে আগ্রহ দেখান এমবাপে। চিঠি দিয়ে ক্লাবকে জানিয়ে দেন, চলমান চুক্তি নবায়ন করার কোনো ইচ্ছা তার নেই। আগামী বছর মেয়াদ শেষ করেই ক্লাব ছাড়তে চান।
কিন্তু, দলবদলের বাজারে বিশ্বকাপজয়ী এই তারকাকে ফ্রি এজেন্টে ছাড়তে নারাজ পিএসজি। ক্লাবের সিদ্ধান্ত, এমবাপে থাকতে চাইলে চুক্তি নবায়ন করতে হবে, নয়তো এবারের দলবদলেই ক্লাব ছাড়তে হবে। এমন শর্ত দিলেও এবারই এমবাপেকে ছাড়তে চায় প্যারিসের ক্লাবটি। কারণ, এবার বিক্রি করতে না পারলে আগামী মৌসুমে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে দল ছাড়তে হবে এমবাপকে।
এমবাপেকে কেনার তালিকায় সবচেয়ে বড় নাম রিয়াল মাদ্রিদ। গুঞ্জন আছে, বিশ্বকাপ জেতা এই তারকাকে কেনার জন্য নাকি সব চুক্তিই তৈরি করেছে স্পেনের ক্লাবটি। চুক্তি অনুযায়ী, ২০০ মিলিয়ন ইউরোতে দল ছাড়বেন এমবাপে। ৫ বছরের জন্য রিয়ালে পাড়ি জমাবেন তিনি। যেখানে তার বেতন হবে ৫০ মিলিয়ন। আর রিলিজ ক্লজ হবে ১ বিলিয়ন ইউরো।
তবে এসব গুঞ্জনের সবটাই উড়িয়ে দিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এমবাপের সাথে এমন কোন চুক্তিই হয়নি তাদের। অবশ্য, ক্রীড়াভিত্তিক গণমাধ্যম মার্কা ও আরএমসি স্পোর্টস জানাচ্ছে ভিন্ন কথা।
তাদের ভাষ্য, এমবাপে ইস্যুতে রিয়ালের কর্তাব্যক্তিরা সতর্কতার সঙ্গে এগোচ্ছেন। ট্রান্সফার ফি এবং বেতন মিলিয়ে তাদের ৪০০ মিলিয়ন খরচা হতে পারে। এ কারণেই কি না, এমবাপ্পের সঙ্গে বেতন আর ব্যক্তিগত শর্তাবলি নিয়ে সমঝোতার খবরটি উড়িয়ে দিয়েছেন রিয়ালের কর্মকর্তারা!
তবে এমন খবর অস্বীকার করলেও শেষ পর্যন্ত সত্যিই হয়ত সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে পা রাখতে চলেছেন এমবাপে। বেশ কয়েক বছর ধরেই তার ব্যাপারে গুঞ্জন চলে আসছে। এমবাপে নিজেও রিয়ালের সাদা জার্সিতে খেলার আগ্রহ দেখিয়েছেন। শেষপর্যন্ত কোথায় যাচ্ছেন তিনি, তা দেখার অপেক্ষা সবার।
আরএস