আর্থিক কেলেঙ্কারি হয়েছে, তা ফিফার তদন্তেই প্রমাণিত। দোষী হিসেবে বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধও করেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। কিন্তু ফিফার ৫১ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে আরও কর্মকর্তার নাম ছিল। সেটা ধরেই অধিকতর তদন্তে নামে বাফুফে। কথা ছিল ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে বাফুফের সহসভাপতি কাজী নাবিল আহমেদকে নিয়ে গঠিত কমিটি।
কিন্তু এরই মধ্যে প্রায় দুই মাস পার হয়েছে। এক দফা সময়ও বাড়িয়েছে তারা। কিন্তু এখনও চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি কমিটি। সোমবার বাফুফেতে তদন্ত কমিটির সভা শেষে অগ্রগতির খবর জানালেন কাজী নাবিল। বাফুফে সভাপতির কাছে আমরা সময় চেয়েছি, এ মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে রিপোর্ট দিয়ে দেব। কাজ গুছিয়ে এসেছে আর খুব বেশি সময় লাগবে না। দুই থেকে তিনটি সভাতেই চূড়ান্ত হয়ে যাবে প্রতিবেদন। তদন্ত যে অনেকটা এগিয়েছে, তা বাফুফের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেন ও অপারেশন্স ম্যানেজার মিজানের পদত্যাগেই স্পষ্ট। ফিফার তদন্ত প্রতিবেদনে এ দুই কর্মকর্তার নামও ছিল। বাফুফের তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হওয়ার পরই চাকরি ছেড়ে দেন তারা। পূ
র্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদনে হয়তো আরও কয়েকজনের নাম আসতে পারে। তদন্তের কাজ বারবার পেছানোর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন কাজী নাবিল। তিনি বলেন, ঈদের আগে আমার করোনা হয়েছিল, চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে ছিলাম। এরপর সাধারণ সম্পাদকও বাইরে ছিলেন ট্রেনিংয়ের জন্য। এ কারণে সময় চলে গেছে। আগের মতোই আমাদের কাজের ধারাবাহিকতা বজায় আছে। কিছু উপসংহারের দিকে যেতে পারছি।
এরই মধ্যে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকেও বাফুফের আর্থিক বিষয় নিয়ে একটি তদন্ত শুরু হয়েছে। কাজী নাবিল পরিষ্কার করেন তারা ফিফার প্রতিবেদন ধরে তদন্ত করছেন। আর ক্রীড়া মন্ত্রণালয় তদন্ত করছে অন্য একটি বিষয় নিয়ে।
আরএস