অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড যৌথ আয়োজিত মেয়েদের বিশ্বকাপে প্রথম একপেশে ম্যাচ দেখলে বিশ্ব। গ্রুপ ‘সি’র প্রথম ম্যাচে নেমে কোস্টারিকাকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে স্পেন। আধিপত্য বিস্তার করে ৩-০ ব্যবধানে জিতেছে স্পেনিয়ার্ড বাহিনী। এর আগে বিশ্বকাপে দুই দেখায় দুদল একটি করে ম্যাচ জিতেছিল। সেই পরিসংখ্যানের ধারেকাছেও পারফরম্যান্স করতে পারেনি মধ্য আমেরিকার দেশ কোস্টারিকা। ম্যাচের পুরোটা সময় গেছে প্রতিপক্ষের আক্রমণ প্রতিহত করতে।
ম্যাচের ২১ মিনিটে গোলমুখে আক্রমণ, বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে বসেন ভ্যালেরিয়া ডেল ক্যাম্পো। দুই মিনিট পর আবারও গোলের দেখা পায় স্পেন। মিডফিল্ডার আইতানা বোনমাতি করেন গোল। দ্রুত দুটি গোলের পর ২৭ মিনিটে আরও একটি গোলের দেখা পায় স্পেন, গোল করেন এস্থার গঞ্জালেস। ৩৪ মিনিটে একটি পেনাল্টির দেখা পায় স্পেন।
সেটি ঠেকিয়ে দেন স্পেনের গোলরক্ষক জেনিফার হারমোসো। প্রথমার্ধে ৮০ শতাংশের বেশি বল ছিল স্পেনের পায়ে। পুরো ম্যাচে স্পেনের গোলপোস্টের দিকে মাত্র একটি শট নিতে পেরেছে কোস্টারিকা। অন্যদিকে স্পেনিয়ার্ড মেয়েরা গোলপোস্টের দিকে সবমিলিয়ে ৪৬টি শট নিয়েছে, যার মধ্যে ১২টি অনটার্গেট শট ছিল। কর্নারেও আধিপত্য ছিল স্পেনের।
তাদের ২২টি কর্নারের বিপরীতে মাত্র একটি কর্নার পেয়েছে কোস্টারিকা এবং গোলরক্ষক ড্যানিয়েলা সোলেরাকে একরকম অগ্নিপরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। স্পেনের করা মোট ১০টি শট ঠেকিয়ে দিয়েছেন কোস্টারিকান গোলরক্ষক। বল দখলেও স্পেনের ধারেকাছে ছিল না কোস্টারিকা, ৮০ শতাংশ স্পেনের দখলে ছিল। শেষপর্যন্ত ৩-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্পেন।