ইংলিশ কাউন্টি ও ঘরোয়া অন্যান্য টুর্নামেন্টে খেলার অভিজ্ঞতা কিছুটা আছে মোহাম্মদ আমিরের। তবে আগামী বছর পুরনো এই অভিজ্ঞতা নিতে যাচ্ছেন তিনি নতুন পরিচয়ে। ইংল্যান্ডের দা টেলিগ্রাফের খবর, কাউন্টি দল ডার্বিশায়ারের হয়ে মাঠে নামতে দেখা যাবে তাকে স্থানীয় ক্রিকেটার হিসেবেই।
ব্রিটিশ নাগরিক ও আইনজীবি নার্জিস খানকে বিয়ে করার সুবাদে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পাওয়ার পথে আছেন আমির। আগামী বছরই ব্রিটিশ পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার কথা পাকিস্তানের ৩১ বছর বয়সী এই পেসারের। তাকে দলে নিতে তাই আগেভাবেই আলোচনা সেরে ফেলেছে ডার্বিশায়ার।
ডার্বিশায়ারের সঙ্গে পাকিস্তান ক্রিকেটের খানিকটা সংযোগও আছে। কাউন্টি দলটিকে ঢেলে সাজাচ্ছেন তাদের প্রধান কোচ মিকি আর্থার, যিনি ছিলেন পাকিস্তানেরও প্রধান কোচ। অস্ট্রেলিয়ান এই কোচ এখন পাকিস্তানের ডিরেক্টর অব ক্রিকেট হিসেবে কাজ করছেন ডার্বিশায়ারের দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি। আর্থার পাকিস্তানের কোচ থাকার সময় আমির ছিলেন দলের নিয়মিত সদস্য।
পরে নানা জনের সঙ্গে দ্বন্দ্বে ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়ে দেন বাঁহাতি এই পেসার।
ইংল্যান্ডে খেলতে যাওয়ার পর সেখানে থিতু হয়ে পরে নাগরিকত্ব নিয়ে স্থানীয় ক্রিকেটার হিসেবে কাউন্টি খেলার নজির পাকিস্তানের ক্রিকেটে আছে বেশ কিছু। কিছুদিন আগে পাকিস্তানের একটি টিভি চ্যানেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে আমির বলেছিলেন, ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পাওয়ার পর সেই পাসপোর্ট দিয়ে আইপিএল খেলার ভাবনাও আছে তার মাথায়।
এমনিতে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের আইপিএলে নেওয়া হয় না। তবে ব্রিটিশ নাগরিক হিসেবে আইপিএল খেলার অভিজ্ঞতা আছে সাবেক অলরাউন্ডার আজহার মাহমুদের। তাকে অনুসরণ করতে চান আমিরও।
তবে ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে খেলার ভাবনা নেই বলেও তখন জানিয়ে দিয়েছিলেন আমির। ইংল্যান্ডে এখনও পর্যন্ত এসেক্স ও গ্লস্টারশায়ারের হয়ে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ ও টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে খেলেছেন আমির। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায়ের পর বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলে বেড়াচ্ছেন আমির।
এইচআর