নারী ফুটবল বিশ^কাপের পুরোনো চ্যাম্পিয়নদের মধ্যে সব দলই বিদায় নিয়েছে আগেই। একমাত্র জাপান টিকে ছিল; সেই জাপানকেও বিদায় নিতে হলো কোয়ার্টার ফাইনালে। কোয়ার্টার জাপানকে ২-১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে নাম লিখিয়েছে সুইডেন। দিনের অপর খেলায় একই ব্যবধানে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শেষ চার নিশ্চিত করে স্পেনও।
চমকের বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি শেষ ষোলোয় ছিটকে যাওয়ায় শিরোপা প্রত্যাশীদের তালিকায় এগিয়ে ছিল জাপান। কিন্তু ২০১১’র চ্যাম্পিয়নরা একই পথ ধরে হাঁটল। সুইডেনের কাছে খুব একটা পাত্তা পায়নি তারা। ইডেন পার্ক স্টেডিয়ামে ম্যাচের ৩২ মিনিটে আমান্দা ইলেস্তেদের গোলে এগিয়ে যায় সুইডেন। বিরতির পর ৫১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফিলিপা আনগেলদাল।
এরপর ম্যাচে ফেরার বেশকিছু সুযোগ আসে জাপানের। ৭৬ মিনিটে বিতর্কিত এক পেনাল্টি পায় তারা। কিন্তু গোল করার সুবর্ণ সুযোগটি মিস করে বসেন রিকো ইউকি। স্পটকিক থেকে নেওয়া তার শট বারে লেগে ফিরে আসে। ৮৭ মিনিটে হোনোকা হায়াশি এক গোল শোধ দিলেও তা কেবল ব্যবধানই কমায়। অন্যদিকে এবারের আসরের আগপর্যন্ত বিশ্বকাপে স্পেনের সর্বোচ্চ দৌড় ছিল শেষ ষোলো রাউন্ড পর্যন্ত। এবার সেই রেকর্ড ভাঙে তারা।
শুধু তা-ই নয়, গতবারের রানার্সআপ নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে তাদের সেমিফাইনালে ওঠা রূপকথার মতোই। ওয়েলিংটন স্টেডিয়ামে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ৮১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে স্পেনকে এগিয়ে দেন মারিওনা কালদেন্তে। কিন্তু লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি স্প্যানিশরা। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে ডাচদের সমতায় ফেরান স্তেফানি ফন ডার গ্রেগট। যার ফলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। আর সেখানেই স্পেনের বাজিমাত। ১১১ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে সালমা সেলেস্তের শট পোস্টে লাগলেও তা ঠিকই জালে আশ্রয় নেয়। তাতে উল্লাসে মেতে ওঠে স্প্যানিশরা। আগামী ১৫ আগস্ট সেমিফাইনালে সুইডেনের মুখোমুখি হবে দলটি।