বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজ

নিউজিল্যান্ডের কাছে ৮৬ রানে হেরেছে বাংলাদেশ

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩, ০৯:৪৩ পিএম

প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত। বৃষ্টির চোখ রাঙানি থাকলেও মিরপুরে নির্বিঘ্নে হলো বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ। ফেরার ম্যাচে ব্যাট হাতে তামিম ও মাহমুদউল্লাহ অভিজ্ঞতার ছাপ রাখলেও পারেনি বাকিরা। ইশ সোধির স্পিন ভেল্কিতে নাকাল বাংলাদেশের ব্যাটাররা। শনিবার মিরপুরে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৮৬ রানে হেরেছে বাংলাদেশ।

আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.২ ওভারে ২৫৪ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইশ সোধির স্পিন ভেল্কিতে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ৪১.১ ওভারে ১৬৮ রানে। তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর মিরপুরে হবে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে।

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো ছিল না বাংলাদেশের। দলীয় ১৯ রানেই লিটন দাসের উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। জেমিসনের বলে রবীন্দ্রর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১৬ বলে ৬ রান করা বাংলাদেশ অধিনায়ক।

অপর প্রান্তে দীর্ঘ ৮০ দিন পর মাঠে ফেরা তামিম ইকবাল ছিলেন বেশ ছন্দে। তার সঙ্গে তাল মেলাতে পারেননি তরুণ তানজিদ হাসান তামিম। দলীয় ৬০ রানের মাথায় ইশ সোধির বলে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ১২ বলে তার রান ১৬।

সোধির একই ওভারের শেষ বলে সাজঘরে ফিরে টাইগার ভক্তদের হতাশ করেন প্রায় দুই বছর পর দলে ফেরা সৌম্য সরকার। সোধির বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। দুই বল খেললেও রানের খাতা খুলতে পারেননি বাঁ হাতি এই ব্যাটার।

চতুর্থ উইকেটে তামিম ও হৃদয়ের ওপর ভরসা ছিল অনেকের। কিন্তু বিধিবাম, হয়নি। তরুণ তানজিদের সঙ্গে ৪১ রানের জুটি গড়েছিলেন তামিম। হৃদয়ের সঙ্গে হলো মাত্র ১০ রানের। সোধির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন হৃদয় ৭ বলে মাত্র ৪ রান করে।

৭০ রানে চার উইকেট হারানো বাংলাদেশ তখন বেশ চাপে। ফিফটির দিকে ধাবমান তামিম হতাশ করেছেন শেষ দিকে। নিজে ফিফটি পাননি, দলকে রেখে আসেন বিপদে। দলীয় স্কোর যখন ৯২, তামিমের রান তখন ৪৪। সোধির বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন সাবেক এই অধিনায়ক। ৫৮ বলের ইনিংসে তামিম হাঁকান ৭টি চার।

তামিমের বিদায়ের পর বড় ভরসার জায়গায় ছিলেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তরুণ মেহেদী হাসানের জুটি। এই জুটি ভালোও করছিল। কিন্তু সেই সোধির আবার আঘাত। বোল্ড করে দেন ২৯ বলে ১৭ রান করা মেহেদীকে। এই জুটিতে আসে ৬৩ বলে ৪২ রান। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট পেলেন সোধি।

মেহেদীর বিদায়ের পর স্বীকৃত ব্যাটার বলতে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। এক রানের জন্য তিনি পাননি ফিফটি। চাইলে এ বলটিকে বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতেই পারতেন মাহমুদউল্লাহ। ছেড়ে দিলে নিশ্চিত ওয়াইড হতো। অথচ পার্ট টাইমার কোল ম্যাকনকির সে বলটি মাহমুদউল্লাহ মারলেন সরাসরি ফাইন লেগে থাকা ফিল্ডারের হাতে! সেটিও আবার ৪৯ রানে দাঁড়িয়ে থেকে। ৭৬ বলের ইনিংসে মাহমুদউল্লাহ হাঁকান চারটি চার ও এক ছক্কা।

মাহমুদউল্লাহর বিদায়ের পরই বাংলাদেশের পরাজয় ত্বরান্বিত হয়। লেজের সারির ব্যাটাররা বড় কোনো চমক উপহার দিতে না পারায় বড় হার নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। হাসানকে শূন্য রানে ফিরিয়ে নিজের ষষ্ঠ উইকেট বগলদাবা করেন সোধি। ৩০ বলে ২১ রান করা নাসুমকে ফেরান জেমিসন।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.২ ওভারে ২৫৪ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন টম ব্লান্ডেল। হেনরি নিকোলস করেন ৪৯ রান। মানকাডিং আউটের পরও দ্বিতীয়বার ব্যাট করা ইশ সোধি করেন ৩৫ রান। বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে খালেদ আহমেদ ও মেহেদী হাসান তিনটি করে উইকেট নেন। মুস্তাফিজুর ২টি ও হাসান এবং নাসুম নেন একটি করে উইকেট।

আরএস