বিশ্বকাপের চলতি আসরে টানা দুই ম্যাচে নেদারল্যান্ডস ও শ্রীলংকার বিপক্ষে জিতে ফুরফুরে মেজাজেই ছিল পাকিস্তান ক্রিকেট দল।
এরপর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত আর বিশ্বকাপের রেকর্ড পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হেরে ব্যাকফুটে চলে যায় বাবর আজরা।
আজ নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে এশিয়ার উঠতি দল আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩০০ বলে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮২ রান করেছে পাকিস্তান।
সোমবার ভারতের চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের ২২তম ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান।
প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে পাকিস্তান। উদ্বোধনীতে ৫৬ রানের জুটি গড়েন দুই ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ও ইমাম-উল-হক। ২২ বলে ১৭ রানে ফেরেন ইমাম।
এরপর অধিনায়ক বাবর আজমের সঙ্গে ৭৪ বলে ৫৪ রানের জুটি গড়েন ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক। ২২.২ ওভারে এক উইকেটে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ১১০ রান। এরপর ৫৩ রানের ব্যবধানে পাকিস্তান হারায় ৩ উইকেট।
৭৫ বলে ৫টি চার আর ২টি ছক্কার সাহায্যে ৫৮ রান করে ফেরেন আব্দুল্লাহ শফিক। চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৮ রানে ফেরেন মোহাম্মদ রিজওয়ান।
এরপর চতুর্থ উইকেটে সৌদ শাকিলের সঙ্গে ৫৭ বলে ৪৩ রানের জুটি গড়েন বাবর আজম। ৩৪ বলে ২৫ রানে ফেরেন সৌদ শাকিল।
পঞ্চম উইকেটে দলের সহঅধিনায়ক শাদাব খানের সঙ্গে ৪৭ বলে ৪৩ রানের জুটি গড়েন বাবর আজম।
৪১.৫ ওভারে দলীয় ২০৬ রানে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক বাবর আজম। তার আগে ৯২ বলে ৪টি চার আর এক ছক্কায় দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেন বাবর। চলতি বিশ্বকাপে এটা তার দ্বিতীয় ফিফটি। এর আগে ভারতের বিপক্ষে খেলেন ৫০ রানের ইনিংস।
বাবর আজম আউট হওয়ার পর সাত নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রীতমতো তাণ্ডব চালান ইফতেখার আহমেদ। ষষ্ঠ উইকেটে শাদাব খানের সঙ্গে ৪৫ বলে ৭৩ রানের ঝড়ো জুটি গড়েন ইফতেখার।
ইনিংস শেষ হওয়ার মাত্র ৪ বল আগে দলীয় ২৭৯ রানে ফেরেন ইফতেখার আহমেদ। তার আগে ২৭ বলে দুটি চার আর ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৪০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ইফতেখার আহমেদ।
ইনিংসের একিবারে শেষ বলে আউট হন শাদাব খান। তার আগে ৩৮ বলে এক চার আর সমান ছক্কায় ৪০ রান করেন শাদাব।
বাবর আজম (৭৪) ও আব্দুল্লাহ শফিকের (৫৪) জোড়া ফিফটি এবং ইফতেখার আহমেদ (৪০) ও শাদাব খানের (৪০) শেষ দিকের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেটে ২৮২ রান করে পাকিস্তান।
আফগানিস্তানের হয়ে ৪৯ রানে ৩ উইকেট নেন রিস্ট স্পিনার নুর আহমেদ। ৫২ রানে ২ উইকেট নেন নাভিন উল হক।
আরএস