বিপিএল-২০২৪

রংপুরকে হারিয়ে বরিশালের শুভ সূচনা

ক্রীড়া প্রতিবেদক প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২৪, ০৫:৩২ পিএম

বিপিএলের দশম আসর শুরু হয়েছে একেবারেই সাদামাটাভাবে। গত শুক্রবার উদ্বোধনী ম্যাচেও ছিল না তেমন কোনো উত্তাপ। তবে সব উত্তাপ যেন ছিল আজকের ম্যাচকে ঘিরে। বরিশাল-রংপুরের ম্যাচ নিয়ে এত উত্তাপ কেন? প্রশ্নটা স্বাভাবিক। উত্তাপটা আসলে বরিশাল ও রংপুরের ম্যাচকে ঘিরে নয়; আসল ফ্যাক্ট তো তামিম-সাকিব। বরিশালের হয়ে দীর্ঘ চার মাস পর ক্রিকেটের মাঠে ফিরলেন তামিম ইকবাল খান। অন্যদিকে সাকিব আল হাসানও নির্বাচনে ব্যস্ত সময় পার করে মাঠে ফিরেছেন। সব মিলিয়ে তাই গতকাল দুপুরের ম্যাচে সব আলো ছিল তামিম-সাকিবের দিকেই। 

গতকাল শনিবার সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের দলের লড়াই দেখতে মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ছিলো অগণিত দর্শক।  ভরা আমেজে বিপিএলের দশম আসরে ভালো শুরু পেল ফরচুন বরিশাল। ফেভারিট রংপুর রাইডার্সকে ৫ উইকেটে হারালো তামিমের বরিশাল। 

আগে ব্যাট করে শেখ মেহেদী হাসানের ১৯ বলে ২৯ রানে ভর করে ১৩৪ করে রংপুর। তাদের দেড়শোর অনেক নিচে আটকে ৪১ রানে ৪ উইকেট নেন খালেদ। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে যা তার ক্যারিয়ার সেরা ফিগার। রংপুরের ওই পুঁজি ৫ বল বাকি থাকতেই তুলে নেয় বরিশাল।

লক্ষ্যটা ছোট, তবে মিরপুরের উইকেট বলে কথা। ভয় তো থেকেই যায়। ১৩৫ রান তাড়ায় নেমে আজমতউল্লাহ ওমরজাই’র প্রথম ওভারেই তিন বাউন্ডারি মারেন তামিম। পঞ্চম ওভারে বল করতে এসে সাকিব ফেরান জাদরানকে। তিনে নেমে মেহেদী হাসান মিরাজ শুরু করেন ছক্কা দিয়ে। মোহাম্মদ নবিকে এগিয়ে এসে ছক্কা মারার পরের বলে একই চেষ্টায় গিয়ে স্টাম্পিং হন তিনি। চার মাস পর ২২ গজে ফিরে ২৪ বল খেলে ৩৫ রান করেন তামিম। চারে নেমে সৌম্য সরকার হাসান মুরাদকে স্লগ করতে গিয়ে উঠিয়ে দেন সহজ ক্যাচ। 

১৮ বলে ২০ রান করে মিরাজ ফিরে যাওয়ার পর অভিজ্ঞ শোয়েব মালিককে এগুচ্ছিলেন তিনি। তবে মুশফিক ২৬ করেই ফিরে যান। শোয়েব মালিক ১৮ বলে অপরাজিত থাকেন ১৭ রানে, অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ সাতে নেমে ১১ বলে ১৯ করে শেষ করে দেন ম্যাচ।  

দুপুরে টস জিতে খালেদই বেধে দেন সুর। প্রথম উইকেট অবশ্য পান মোহাম্মদ ইমরান। ব্র্যান্ডন কিংকে বোল্ড করে দেন তিনি। দ্বিতীয় ওভারে এসে পরপর রনি তালুকদার ও সাকিবকে সাজঘরে ফেরান খালেদ। পাওয়ার প্লের মধ্যে ওমরজাইকেও আউট করে দেন দুনিত ভেলালাগে। 

৩১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে নড়ে উঠা রংপুর এরপর এগিয়েছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। পাঁচে নেমে শামীম পাটোয়ারি ৩৪ করলেও তার জন্য খরচ করেন ৩৩ বল। রংপুরের রান লড়াইয়ের জায়গায় নিয়ে যান শেখ মেহেদী। ১৯ বলে ৪ বাউন্ডারি, ১ ছক্কায় ২৯ করেন তিনি। আর তাতেই ১৩৪ রানের পুঁজি পেয়েছিল রংপুর।