যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে আগামী এক সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বললেন নাজমুল হাসান পাপন। তাছাড়া না জেনে কিছু বলতে চাই না বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান।
রোববার (২১ জানুয়ারি) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ, প্রতিবন্ধী স্টেডিয়াম নির্মাণ, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের আধুনিকায়ন ও সংস্কার কাজের অগ্রগতি বিষয়ক পর্যালোচনা সভায় শুরুতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন নিয়ে কী পরিকল্পনা, আগের কাজগুলোর কী অবস্থা; সবকিছু নিয়েই জানতে চাওয়া হলে পাপন বলেন, নিজে জানার পরই এসব নিয়ে কথা বলবো। আগের প্রকল্পগুলো অগ্রগতি ও অনেক প্রকল্পের বাজেট বাড়ানো হলেও কাজের তেমন অগ্রগতি হয়নি সে বিষয়ে জানতে চাইলে ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, প্রথম কথা হচ্ছে, কাজ দেরি হওয়ার পেছনে ব্যত্যয় আছে কি না, তা জানতে হবে।
যদি যৌক্তিক কারণ থাকে, তাহলে তো আর কিছু বলার নেই। আর যদি স্পেসিফিক ওইরকম কিছু না থাকে, তাহলে সেগুলো আগামীতে কীভাবে এড়ানো যায়, সেগুলো এনশিউর করব। ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে পাপন বলেন, এগুলো সম্পর্কে আগে আমাকে জানতে হবে। না জেনে কিছু বলতে চাই না। আগে জানি, তারপর আপনাদের জানাব।
এর জন্য পরের সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতির পদ নিয়ে আপনার কোনো নতুন পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বিসিবিতে যখন যাবো তখন প্রশ্ন করেন উত্তর দেবো। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম সংস্কার কাজের প্রথম ডিপিপি হয়, তখন বাজেট ছিলো ৮০ কোটি টাকা।
সদ্য বিদায় নেওয়া যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল সেটিকে বাড়িয়ে করেন ৯৮ কোটি। তাতেও হয়নি, শেষ পর্যন্ত প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫৫ কোটি। বরাদ্দ বেড়েছে তরতর করে, কিন্তু কাজ হয়নি তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে।
এএইচ