টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন পারভেজ হোসেন ইমন। প্রাইম ব্যাংকও তাতে পায় তিনশ ছাড়ানো সংগ্রহ। কিন্তু ওই রানও সাজ্জাদুল ইসলাম রিপনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে প্রায় তাড়া করে ফেলেছিল সিটি ক্লাব। কিন্তু শেষ তিন বলে হ্যাটট্রিক করে সেটি হতে দেননি শেখ মাহেদী হাসান। বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে দারুণ লড়াইয়ের পর প্রাইম ব্যাংকের কাছে ৩ রানে হেরে গেছে সিটি ক্লাব। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০৫ রান করে প্রাইম ব্যাংক।
ওই রান তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেটে ৩০২ রান করে সিটি ক্লাব। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১১ বলে ৬ রান করে আউট হয়ে যান তামিম ইকবাল। আগের ম্যাচে জ্যামের কারণে তিনে নামতে হয়েছিল, এদিন ওপেনিংয়ে নেমেও রানের দেখা পাননি তামিম। তিনি ফেরার পর জাকির হাসানের সঙ্গে ১৫৭ রানের জুটি গড়েন পারভেজ হোসেন ইমন। ৭৭ বলে ৭৯ রান করে মেহেদী হাসানের শিকার হন জাকির। তবে সেঞ্চুরি তুলে নেন পারভেজ হোসেন ইমন।
আগের ম্যাচেও তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিলেন এই ব্যাটার। ৫ চার ও সমান ছক্কার ইনিংসে ১১৪ বলে ১১০ রান করেন ইমন। ২৯ বলে ৪২ রান আসে মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাটে। বড় রান তাড়ায় নেমে কখনোই হাল ছেড়ে দেয়নি সিটি ক্লাব। ৩০ ওভার শেষে অবশ্য ২ উইকেটে ১৩৬ রান ছিল তাদের। মূলত সিটি ক্লাবের রানের গতি বাড়ান অধিনায়ক সাজ্জাদুল হক রিপন। শেষ দশ ওভারে ১১ রান দরকার ছিল সিটি ক্লাবের। হাসান মাহমুদের করা ৪৯তম ওভারের শেষ দুই বলে চার ও ছক্কা হাঁকিয়ে শেষ ওভারে ১৫ রানের সমীকরণ বানান সাজ্জাদুল হক রিপন।
দ্বিতীয় বলে চার হাঁকিয়ে দেন রিপন, পরের বলে শেখ মেহেদীকে হাঁকান ছক্কা। কিন্তু চতুর্থ বলে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে নাজমুল ইসলাম অপুর হাতে ক্যাচ দেন রিপন। ৫ চার ৭ ছক্কায় ৩৭ বলে ৭৬ রানের ইনিংস শেষ হয় তার। শেষ দুই বলে চার রান করতে পারেনি সিটি ক্লাব। উল্টো রিপনকে ফেরানোর পরের দুই বলে ইরফান হোসেন ও মঈনুল ইসলামকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ হয় মাহেদীর।
দিনের আরেক ম্যাচে ৭০ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে ছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন ফজলে মাহমুদ রাব্বি ও নুরুল হাসান সোহান। রাব্বি না পারলেও সোহান তুলে নেন সেঞ্চুরি। বড় রান তাড়া করতে নেমে অল্পতেই অলআউট হয়ে যায় ব্রাদার্স। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ১২১ রানে হারিয়েছে শেখ জামাল। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২৫৬ রান করে শেখ জামাল। ওই রান করতে নেমে ৪০ ওভার ২ বল খেলে ১৩৫ রানে অলআউট হয়ে যায় ব্রাদার্স।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৩ রানে দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে শেখ জামাল। পরে সাইফ হাসানের সঙ্গী হয়ে বিপদ সামলে নেন রাব্বি। ৫৬ বলে ৩৪ রান করে আউট হয়ে যান সাইফ। পরে সোহানের সঙ্গে ১২০ রানের জুটি গড়েন রাব্বি। ৮ চারে ১০০ বলে ৭৪ রান করে রাহাতুল ফেরদৌসের বলে বোল্ড হয়ে যান রাব্বি। আরেকদিকে থাকা সোহান সেঞ্চুরি তুলে নেন। ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৯৭ বলে ১০১ রান করে আবু জায়েদ রাহির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। সোহানের পর আর কোনো ব্যাটারই দলের হাল ধরতে পারেননি।
ব্রাদার্সের পক্ষে ১০ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন রাহি। রান তাড়ায় নেমে ১৫ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে ব্রাদার্স। দুই পেসার শফিকুল ইসলাম ও রিপন মণ্ডলের তোপে দিশেহারা ব্রাদার্স রাহাতুল ফেরদৌসের ব্যাটে পথ খুঁজে পায়। ৭৬ বলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন তিনি। এছাড়া ৫০ বলে উইকেটরক্ষক ব্যাটার শাকিল ২৬ ও ৩১ বলে ২১ রান করেন অধিনায়ক মনির হোসেন। শেখ জামালের হয়ে ১০ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন রিপন। ৯ ওভার দুই বলে স্রেফ ১২ রান দিয়ে ৪ উইকেট পান শফিকুল ইসলাম।