আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের স্বাগতিক বাংলাদেশ। যেটি অক্টোবরের ৩ তারিখে মাঠে গড়ানোর কথা রয়েছে। কিন্তু দেশের চলমান অস্থিরতার মাঝে নিরাপত্তা ইস্যু চিন্তা বাড়াচ্ছে আয়োজকদের। তাই তো ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তা চেয়েছে বিসিবি। এদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থক হিসেবে পরিচিত বিসিবি কর্তাদের অনেকে দেশ ছেড়েছেন।
বিসিবির সভাপতি ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন, নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ও নীতিনির্ধারণী মহলের অধিকাংশ সদস্য না থাকায় এই মেগা ইভেন্ট হাতছাড়া হওয়ার শঙ্কায়।
গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর শুক্রবার (৯ আগস্ট) অন্তবর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার দায়িত্ব পান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয় আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তাই বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে তিনি প্রশ্নের মুখে পড়বেন এটাই স্বাভাবিক। সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাতকার দিয়েছেন আসিফ। সেখানে তিনি ‘নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ’ নিয়ে শুনিয়েছেন আশার বাণী। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন বাংলাদেশেই হবে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর।
সাক্ষাতকারে আসিফ মাহমুদ বলেন, নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের বিষয়টি আমার চোখে পড়েছে। আমি এখন থেকেই তৎপরতা শুরু করেছি। আশা করি, এটা বাংলাদেশের বাইরে যাবে না। দেশ গঠনের সময়ে যদি এ রকম কিছু ঘটে, তাহলে সেটা আমাদের ভাবমূর্তির জন্য খুবই ক্ষতিকর হবে। আমাদের সৌভাগ্য, ইউনূস স্যার আছেন সঙ্গে। আমাদের যেসব বিনির্মাণ করা প্রয়োজন, সচিবের কাছে কিছু কিছু শুনেছি। সেসব সংস্কারের জন্য আমরা রোববারেই বসব।
তিনি বলেন, আমি সচিবদের সঙ্গে বসব। মন্ত্রণালয়ে বসে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যার আমাদের নেতৃত্বে আছেন, যিনি নিজেও ক্রীড়াপ্রেমী। তিনি কদিন আগে অলিম্পিকের সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন। তার সঙ্গে কথা বলে আশা করি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আমাদের দেশেই ঠিকঠাক আয়োজন করতে পারব। এটা আয়োজনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, আমি মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার সুযোগ পাইনি এখনো। গত বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) শপথ হয়েছে। শুক্রবার (৯ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদের আনুষ্ঠানিক অনেক সভা হয়েছে। আমাদের অনেক পদক্ষেপ নিতে হবে। এখন দেশ গঠনের সময়।
সাক্ষাতকারে তিনি সংস্কারের বিষয়টি বলেন, এ বিষয়ে এখন কোনো মন্তব্য করতে চাইছি না। যেহেতু এখনো মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার সুযোগ পাইনি। সার্বিক অবস্থা না বুঝে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ নেই।
আরএস