বাংলাদেশের বোলারদের বেধড়ক পিটুনি দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-২০’র দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯৭ রান করেছে ভারত।
টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ টি-২০ রান দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। জবাবে বাংলাদেশ আবার টি-২০তে নিজেদের সর্বোচ্চ ১৩৩ রানের ব্যবধানে হেরেছে।
আন্তর্জাতিক টি-২০’র রেকর্ড রান ৩১৪। মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ওই রান করেছিল নেপাল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ছিল আফগানিস্তান ও চেক প্রজাতন্ত্রের ২৭৮। ওই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে ভারত। এর আগে টি-২০তে বাংলাদেশের রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় হার ছিল ১০৪। ওই রেকর্ড ভেঙে আরও বড় লজ্জা পেয়েছে বাংলাদেশ।
শনিবার হায়দরাবাদে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারত শুরুতে অভিষেক শর্মাকে হারায়। দলের ২৩ রানে ব্যক্তিগত ৪ রানে ফিরে যান বাঁ-হাতি এই ওপেনার। পরের গল্পটা ওপেনার সানজু সামসন ও সূর্যকুমার যাদবের। তারা ১৮৩ রানের জুটি গড়েন। ১৩.৪ ওভারে তুলে ফেলেন ১৯৬ রান।
বেধড়ক পিটুনিতে সানজু সামসন ৪৭ বলে ১১১ রান করেন। তার ব্যাট থেকে ১১টি চার ও আটটি ছক্কার শট আসে। সূর্যকুমার ৩৫ বলে ৭৫ রান করেন। আটটি চার ও পাঁচটি ছক্কা আসে ভারতীয় অধিনায়কের ব্যাট থেকে। পরে রায়ান পরাগ ১৩ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় ৩৪ ও হার্ডিক পান্ডিয়া ১৮ বলে চারটি করে চার ও ছক্কায় ৪৭ রানের ইনিংস খেলে ভারতকে তিনশ’ ছোয়া পুঁজি এনে দেন।
জবাবে বাংলাদেশ ২০ ওভার খেলে ৭ উইকেটে ১৬৪ রান করেছে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৩ রানের ইনিংষ খেলেছেন তাওহীদ হৃদয়। ৪২ বলে পাঁচটি চার ও তিনটি ছক্কা মারেন তিনি। এছাড়া লিটন দাস ২৫ বলে আটটি চারের শটে ৪২ রান করেন। তানজিদ তামিম ১৪ ও নাজমুল শান্ত ১৫ রান যোগ করেন।
বাংলাদেশের ইনিংস ধসিয়ে দিয়েছেন তরুণ লেগ স্পিনার রবি বিষ্ণয়। তিনি ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন। মায়াঙ্ক যাদব ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নিয়েছেণ ২ উইকেট। বাংলাদেশের হয়ে যেই বল হাতে নিয়েছেন, সমানে মার খেয়েছেন। শেখ মাহেদী ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়েছেন। তাসকিন ৪ ওভারে ৫১ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। তানজিম সাকিব ৩ উইকেট নিলেও ৪ ওভারে দিয়েছেন ৬৬ রান। মুস্তাফিজ ৪ ওভারে ৫২ রান দিয়ে এক উইকেট নিয়েছেন। লেগ স্পিনার রিশাদ ২ ওভারে দিয়েছেন ৪৬ রান। মাহমুদউল্লাহ ২ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন।
ইএইচ