নুরুল হাসান সোহান হতে পারলেন না আবু হায়দার রনি। যদিও রনির সামনে কাজটা সোহানের চেয়ে সহজই ছিল। শেষ ওভারে সোহানের প্রয়োজন ছিল ২৬ রান, রনির প্রয়োজন ১৯ রান। প্রথম তিন বল থেকে দুটি বাউন্ডারির মাধ্যমে ৯ রান নিয়ে আবু হায়দার রনি তেমনই শ্বাসরূদ্ধকর একটা সমাপ্তির ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
কিন্তু পারলেন না রনি। শেষ ওভারের ৪র্থ বলে ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনআপে ধরা পড়ে গেলেন তিনি তানজিম হাসান সাকিবের হাতে। সে সঙ্গে খুলনা টাইগার্সের জয়ের সম্ভাবনাও শেষ হয়ে গেলো। শেষ পর্যন্ত টান টান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে ৮ রানে সিলেট স্ট্রাইকার্সের কাছে হারলো খুলনা টাইগার্স।
প্রথমে ব্যাট করে রনি তালুকদার এবং জাকির হাসানের ব্যাটিং ঝড়ে ১৮২ রান সংগ্রহ করে সিলেট স্ট্রাইকার্স। জবাব দিতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রানে থেমে যেতে হলো মেহেদী হাসান মিরাজের দল খুলনা টাইগার্সকে।
এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জিতলো সিলেট স্ট্রাইকার্স। আগের ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটালসের করা ১৯৪ রানের বিশাল লক্ষ্যও পাড়ি দেয় সিলেটের ব্যাটাররা। ঘরের মাঠে আরেকটি ম্যাচ খেলার সুযো পাচ্ছে সিলেট। চিটাগং কিংসের বিপক্ষে ম্যাচটি আগামীকাল সোমবার।
১৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে খুলনার ব্যাটাররা। ১৭ রানের মাথায় ১১ রান করে বিদায় নেন মোহাম্মদ নাইম শেখ। ইমরুল কায়েস আউট হয়ে যান মাত্র ২ রান করে।
দারবিশ রাসুলি ১৫ রান করে বিদায় নেন রিসি টপলির হাতে রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে। মেহেদী হাসান মিরাজও করেন মাত্র ১৫ রান। ৪০ বলে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করা উইলিয়াম বোসিসতো আউট হয়ে যান পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে। দলীয় রান তখন ৯৮।
মোহাম্মদ নওয়াজ চেষ্টা করেন ঝড় তোলার; কিন্তু ১৮ বলে ৩৩ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। ১৬ বলে ২৮ রান করে আউট হন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। রান আউট হন জিয়াউর রহমানও। তিনি করেন ৪ রান। ৬ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৪ রান করে আউ হন আবু হায়দার রনি।
সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে তানজিম সাকিব, রিসি টপলি এবং রুয়েল মিয়া ২টি করে উইকেট নেন। ১টি উইকেট নেন নাহিদুল ইসলাম।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান সংগ্রহ করে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ৪৪ বলে ৫৬ রান করেন রনি তালুকদার ও ৪৬ বলে ৭৫ রান করে অপরাজিত থাকেন জাকির হাসান। তিনিই হলেন ম্যাচ সেরা।
আরএস