বিসিবি সভাপতি

বিপিএলে ফিক্সিং প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা

ক্রীড়া ডেস্ক প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৫, ০৬:৪৬ পিএম

চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) নিয়ে উঠেছে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ। অন্তত আটটি ম্যাচ সন্দেহের তালিকায় রয়েছে, যা নিয়ে তদন্তে নামছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) দুর্নীতি দমন ইউনিট (আকসু)। বিষয়টি নিয়ে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, যদি ফিক্সিংয়ের প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে জড়িত ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

এবারের বিপিএলে বেশ কিছু অস্বাভাবিক ঘটনা দেখা গেছে। অনেক বল হয়েছে ওভারস্টেপ, কেউ কেউ প্রায় এক ফুট দূরে পা ফেলে বল করেছেন। এমনকি পিচের বাইরেও বল ফেলতে দেখা গেছে কয়েকবার। খেলোয়াড় বাছাই প্রক্রিয়াতেও অস্বাভাবিকতা ছিল বলে মনে করছে আকসু।  

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের তথ্যমতে, অন্তত ১০ জন ক্রিকেটার ও চারটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এই ১০ জনের মধ্যে ছয়জন বাংলাদেশ জাতীয় দলের, দুইজন বয়সভিত্তিক পর্যায়ের এবং দুইজন বিদেশি ক্রিকেটার। সন্দেহের তালিকায় থাকা ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে দুর্বার রাজশাহী ও ঢাকা ক্যাপিটালসের নাম শীর্ষে রয়েছে। রাজশাহী ও ঢাকার বিরুদ্ধে ১২টি, সিলেট স্ট্রাইকার্সের ছয়টি এবং চিটাগং কিংসের দুটি সন্দেহজনক কর্মকাণ্ড শনাক্ত করা হয়েছে।

যে আটটি ম্যাচ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে, সেগুলো হলো- ফরচুন বরিশাল বনাম দুর্বার রাজশাহী (৬ জানুয়ারি), রংপুর রাইডার্স বনাম ঢাকা ক্যাপিটালস (৭ জানুয়ারি), ঢাকা ক্যাপিটালস বনাম সিলেট স্ট্রাইকার্স (১০ জানুয়ারি), দুর্বার রাজশাহী বনাম ঢাকা ক্যাপিটালস (১২ জানুয়ারি), চিটাগং কিংস বনাম সিলেট স্ট্রাইকার্স (১৩ জানুয়ারি), ফরচুন বরিশাল বনাম খুলনা টাইগার্স (২২ জানুয়ারি), ঢাকা ক্যাপিটালস বনাম সিলেট স্ট্রাইকার্স (২২ জানুয়ারি), দুর্বার রাজশাহী বনাম রংপুর রাইডার্স (২৩ জানুয়ারি)।

বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বিষয়টি নিয়ে সতর্ক মন্তব্য করেছেন। ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই তদন্ত হবে।’ তবে তিনি নিশ্চিত করেছেন, কেউ দোষী প্রমাণিত হলে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে।  

তিনি আরও বলেন, ‘পুরো তালিকা তৈরি হয়েছে, ঘটনা নোট করা হয়েছে। তদন্ত শেষে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। আর আমি যদি নিজে কিছু পাই, তাহলে তাদের জীবন কঠিন হয়ে যাবে। আমি কাউকে ছাড় দেব না। এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, যা ভবিষ্যতে উদাহরণ হয়ে থাকবে।’

আরএস