সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে ডিম ডজনে ১০ টাকা ও মুরগির দাম কেজিপ্রতি কমেছে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। এ ছাড়া কমেছে বেশ কিছু সবজির দামও।
গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা এক ডজন ডিম বিক্রি করছেন ১২০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা।
আর মুদি দোকানে এক পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে কোনো কোনো মুদি দোকানে এক পিস ডিম ১২ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।
ডিমের দাম প্রসঙ্গে শুক্রাবাদ বাজারের ব্যবসায়ী আলম সরকার বলেন, ঈদের আগে ও পরে ডিমের দাম বেশ বেড়ে যায়। গত সপ্তাহে এক ডজন ডিম ১৩০ টাকায় বিক্রি করেছি। আজ সেই ডিমের ডজন ১২০ টাকা। বাজারে ডিমের সরবরাহ বাড়ার কারণে দাম কমেছে।
হাতিরপুল বাজারের ব্যবসায়ী মো. লিটন বলেন, গরমের কারণে একদিকে ডিমের চাহিদা কিছুটা কমেছে, অন্যদিকে বাজারে ডিমের সরবরাহ বেড়েছে। সবকিছু মিলেই দাম কমছে। গত সপ্তাহের তুলনায় ডিম ডজনে ১০ টাকা কমেছে।
এদিকে মুরগির দাম প্রসঙ্গে রায়েরবাজারের ব্যবসায়ী হাসান আলী বলেন, এখনো অনেকের বাসায় ঈদের মাংস রয়েছে। এ কারণে কিছুটা হলেও মুরগির চাহিদা কম।
অন্যদিকে ঈদের পর বাজারে মুরগির সরবরাহ কম থাকলেও এখন বেড়েছে। এ কারণে দাম কিছুটা কমেছে। সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা এখন সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি করছেন নতুন সবজি শিম। এক কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা।
এদিকে গত সপ্তাহে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া গাজরের দাম কিছুটা কমেছে। এখন এক কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়। একই সাথে কমেছে টমেটোর দামও।
গত সপ্তাহে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া টমেটো এখন ৮০ থেকে ১০০ টাকায় নেমেছে। গাজর ও টমেটোর পাশাপাশি কমেছে বরবটির দাম। গত সপ্তাহে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া বরবটি এখন ৫০ থেকে ৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। একই সাথে কমেছে শসার দাম।
গত সপ্তাহে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শসা এখন ৪০ থেকে ৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। বাজারে বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁকরোলের ৫০ থেকে ৭০, কাঁচা পেঁপের কেজি ৩০ থেকে ৪০ আর পটোল বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে। সপ্তাহের ব্যবধানে এ সবজিগুলোর দাম প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে।